সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে খুন করার জন্য পেশাদার খুনিদের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির হয়ে এই অভিযোগই করলেন বিখ্যাত সমাজসেবী আন্না হাজারে। মহারাষ্ট্রের ওসমানাবাদের টেরনা চিনি কারখানার দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তাই তাঁকে খুনের জন্য কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের নিয়োগ করা হয়েছিল বলেই দাবি করেন তিনি। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে চিঠি লিখলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।
২০০৬ সালের ৬ জুলাই মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা পবন রাজে নিম্বালকার ও তাঁর গাড়িচালককে গুলি করে হত্যা করে দুই দুষ্কৃতী। এই ঘটনার তদন্তে নেমে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের জেরা করে জানা যায়, এই খুনের পিছনে রয়েছে শরদ পাওয়ার ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা পদমসিনহা বাজিরাও পাটিল| মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে বিচারক আনন্দ ইয়াভালকারের এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। আর তাতে হাজির হয়ে তাঁকে খুন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন আন্না হাজারে।
আদালতে তিনি বলেন, “ওই চিনি মিলের দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরেই তা তুলে নিতে হুমকি দেয় পাটিল। তার লোকজন আমার অফিসে এসে একটি ব্ল্যাঙ্ক চেকও দেয়। কিন্তু, আমি রাজি হয়নি। তবে পবন রাজে নিম্বালকারের খুনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখেই এই বিষয়ে জানতে পারি।”
তাঁকে খুনের চক্রান্ত সম্পর্কে তিনি জানান, এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর আগে তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু, তাঁরা কোনও পদক্ষেপ নেননি। তাই তাঁকে দেওয়া পদ্মশ্রী ও বৃক্ষমিত্র পুরস্কার নিতেও অস্বীকার করেন তিনি। অনশনে বসেন। এরপরই অবশ্য নড়েচড়ে বসে সরকার। সুপ্রিম কোর্টের এক প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশনও গঠন করে। নিম্বালকারের খুনের ঘটনায় জড়িতদের একজনকে জেরা করে এই বিষয়টি সত্যি বলেও জানা যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.