Advertisement
Advertisement
কাঁকড়া

কাঁকড়ার জন্যই ভেঙেছে বাঁধ, রত্নাগিরির দুর্ঘটনায় আজব যুক্তি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর!

হাঙরকে বাঁচাতে ফাঁসানো হচ্ছে কাঁকড়াকে, কটাক্ষ বিরোধীদের।

Maharashtra Minister Blames Crabs For Dam Burst That Killed 18
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 5, 2019 6:26 pm
  • Updated:July 5, 2019 6:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঁকড়ার জন্য বাঁধ ভেঙেছে বলে দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের জল সংরক্ষণ মন্ত্রী তানাজি সাওয়ান্ত। গত মঙ্গলবার রত্নগিরিতে নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার দায় কার তা জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। তাঁদের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আজব ওই যুক্তির অবতারণা করেন শিব সেনা বিধায়ক তানাজি।

[আরও পড়ুন- ২০২০ সালের মধ্যে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে ভারতের, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর]

তিনি দাবি করেন, গত ১৫ বছর ধরে নদীবাঁধে কোনও ত্রুটি ছিল না। কিন্তু, সম্প্রতি ওখানে থাকা কাঁকড়াদের জন্য বাঁধে ফাটল ধরেছিল। বলেন, “২০০৪ সালে ওই বাঁধটি তৈরি করা হয়েছিল। তারপর থেকে কোনও ফাটল ছিল না। আচমকা এই যে ঘটনা ঘটল তার জন্য দায়ী ওখানে থাকা কাঁকড়াগুলি। সম্প্রতি ওদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। এই জন্যই বাঁধে ফাটল ধরেছে। বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় ভাণ্ডেওয়াদি এলাকার লোকজন সরকারকে জানানোর পরেই আধিকারিকরা ব্যবস্থা নিয়েছেন।”

Advertisement

সপ্তাহখানেক ধরে চলা প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রের বেশিরভাগ এলাকা। সেই কথা উল্লেখ করে দেবেন্দ্র ফড়ণবিস মন্ত্রিসভার ওই সদস্য বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। দু’দিন আগে রেকর্ড ১৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ফলে তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এর ফলে মাত্র আট ঘণ্টায় বাঁধের জলস্তর ৮ মিটার বৃদ্ধি পায়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন- বেসরকারিকরণের দিকে ভারতীয় রেল, বাজেটে ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর]

তানাজী সাওয়ান্তের এই মন্তব্যের কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সরকারের অপদার্থতা ঢাকতেই এই ধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্য করা হয়েছে বলে দাবি করছে বিরোধীরা। হাসির রোল উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। এপ্রসঙ্গে এনসিপির জাতীয় মুখপাত্র নবাব মালিক বলেন, “ওই বাঁধের ঠিকাদার ছিলেন ওনার দলের এক বিধায়ক। তাঁকে বাঁচাতে খুবই লজ্জাজনক একটা অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। আপনি একটা বড় ও অসৎ হাঙরকে বাঁচাতে গিয়ে গরিব কাঁকড়াকে দায়ী করছেন। এটা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীকে কড়া শাস্তি দিতে হবে।”

রত্নাগিরি গ্রামোন্নয়ন কমিটির প্রধান সুভাষ খাণ্ডাগালে বলেন, “সময় এসেছে ওই কাঁকড়াগুলোকে এখনই মন্ত্রীর বাড়িতে ফেলে আসার। কাঁকড়াগুলি যখন বাঁধে গর্ত করত তখন কি উনি জলের তলায় শুটিং করতেন? মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা করার একটা সীমা আছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ