সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত বেশি টেস্ট তত আক্রান্তের হদিশ। করোনা মোকাবিলায় দ্রুত টেস্টই একমাত্র উপায়, দেখিয়েছিল কেরল। সেখানে দ্রুত হারের টেস্টের দৌলতে আক্রান্তদের হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল। যার ফলে তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্ভব হয়েছিল। সারা দেশে কেরল মডেল নিয়ে বেশ হইহই পড়ে গিয়েছিল দিন কয়েক আগে। কিন্তু ঈশ্বরের আপন দেশ কেরলেই আবার টেস্টের গতি শ্লথ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত পাঁচদিনে ২২০০ টেস্ট হয়েছে রাজ্যে। গড়ে প্রতিদিন যা ৪২০’র মতো। আচমকা টেস্টের পরিসংখ্যান নিম্নমুখী হওয়ায় প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
জানা গিয়েছে, যে গতিতে প্রথমে কেরলে কোভিড-১৯ (COVID-19) টেস্ট হচ্ছিল, তার ধারে কাছে নেই বর্তমান পরিসংখ্যান। গত পাঁচদিনের টেস্টের সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, দিল্লি, কর্ণাটক এবং মধ্যপ্রদেশের পরে রয়েছে কেরলের স্থান। এই নিয়ে আগে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অস্বীকার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এমনকী টেস্ট কিট অমিলের জন্য যে সমস্যা হচ্ছে সে তথ্যও উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর টেস্টে ঢিলেমির অভিযোগ অস্বীকার করছে না।
[আরও পড়ুন: আর্থিক অবস্থা নিয়ে রঘুরাম রাজনের সঙ্গে আলোচনা, ‘গঠনমূলক’ বিরোধিতায় রাহুল]
কিন্তু কেন এই কম হচ্ছে টেস্ট? সারা দেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সমস্ত রাজ্যে যখন প্রায় প্রতিদিন ৫০০০ টেস্ট হচ্ছে গড়ে, সেখানে কেরলেন গড় ৫০০’র নিচে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ১৬টি ল্যাবরেটরিতে প্রতিদিন ৪০০০ হাজার টেস্ট করা সম্ভব। এর মধ্যে ১৪টি সরকারি ল্যাব আর বাকি দুটি বেসরকারি। তবে বারবার প্রশ্ন করা হলেও কম টেস্ট হওয়া নিয়ে কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দেয়নি রাজ্য সরকার। উদ্বেগের খবর, প্রতি লক্ষে টেস্টের নিরিখেও অনেক পিছিয়ে কেরল। কেরলে প্রতি লক্ষ মানুষের মধ্যে ৫৯৩ জনের টেস্ট হচ্ছে। যেখানে দিল্লিতে সংখ্যাটা ১৫৬৭, তামিলনাড়ুতে ৮৫৭, রাজস্থানে ৮৪৮ এবং মহারাষ্ট্রে ৭১৪। সবমিলিয়ে কেরল মডেল নিয়ে এত শোরগোল হলেও খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয় এই তথ্যগুলি।