সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাড়ির মধ্যেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় স্বামী-স্ত্রীর। চরমে পৌঁছল পরিস্থিতি। বন্দুক উঁচিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্রিগারে চাপ স্বামীর। মুহুর্তে গুলি বেরিয়ে এফোর-ওফোর করে দিল ৩৪ বছর বয়সী যুবককে। সেই গুলি ছুঁয়ে বেরোল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও। স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত দম্পতি।
দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বছর ৩৪ এর সেই যুবক। হাসপাতালের তরফ থেকে স্ত্রীকে বিপন্মুক্ত জানানো হলেও যুবকের পরিস্থিতি সংকটজনক বলেই জানা যায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছেন সাউথ জোন ডিসিপি দীপক শেরাওয়াত। ঘটনার সূত্রপাত, শুক্রবার সন্ধেয়। জানা যায়, ফরিদাবাদের বাসিন্দা রবি কুমার ও তাঁর স্ত্রী, বর্তমানে গুরুগ্রামের রামপুরায় থাকেন। শুক্রবার বিকেলে রবি কুমার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে রুটিন চেকআপে যান। নিজের গাড়িতেই স্ত্রীকে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু ফেরার পথেই প্রচন্ড ঝগড়া বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এরপরই চরমে পৌছয় সেই বিবাদ। দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে রবি কুমার গাড়িতে থাকা বন্দুক বের করে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ, নিজেরই বন্দুকের গুলিতে আত্মঘাতী হতে গিয়ে নিজের সঙ্গে সেই গুলি লাগে অন্তসত্ত্বা স্ত্রীয়ের শরীরে। গুলির শব্দে হতচকিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তৎখনাত তাঁরা দম্পতিকে সফদরজং হাসপাতালে ভরতি করে দেন। গাড়িতে রবির প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হওয়ায় সংকটজনক পরিস্থিতিতে রয়েছেন তিনি। জ্ঞান ফিরলে হাসপাতালেই রবির স্ত্রী রিয়ার কাছ থেকে ঘটনার বয়ান নেয় সাউথ জোনের পুলিশ।
[আরও পড়ুন:বাড়ি ফেরার পথে তীব্র প্রসব যন্ত্রণা, রেলের সহায়তায় শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনেই জন্মাল শিশু]
রিয়ার কথায়, “দীর্ঘ লকডাউনের জেরে কয়েক মাস রবির চাকরি ছিল না। তাই ও ক্রমশ হতাশায় ডুবে যাচ্ছিল। ওকে প্রায়ই বোঝাতাম। কিন্ত সেদিন আমাদের কথা কাটাকাটি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে ও বন্দুক বের করে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। আমায় কোনওভাবেই আঘাত করতে চায়নি।” তবে ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। ব্যক্তি কাছে বন্দুক এল কোথা থেকে? স্ত্রী কি জানতেন হতাশার আসল কারণ? এটা কি আদপেও হতাশা নাকি অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে ব্যক্তির চাকরি না থাকার পিছনে? ঘটনার তদন্তে নামলে ক্রমেই সেই রহস্যের পর্দা ফাঁস হবে বলে মনে করছে পুলিশ।