Advertisement
Advertisement
দিগ্বিজয় সিং কংগ্রেস নেতা

বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে বাধা পুলিশের, বেঙ্গালুরুতে ধরনায় দিগ্বিজয় সিং

কংগ্রেস নেতাকে জোর করে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ, দেখুন ভিডিও।

Digvijaya Singh was placed under preventive arrest in Bengaluru
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 18, 2020 9:14 am
  • Updated:March 18, 2020 9:14 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং(Digvijaya Singh)। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়নি কর্ণাটকের পুলিশ। জোর করে তিনি বেঙ্গালুরুর হোটেলটিতে ঢুকতে চাইলে, তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের সামনেই ধরনায় বসে পড়েন কংগ্রেস নেতা। তাঁকে জোর করে তুলে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। দিগ্বিজয়ের সঙ্গে কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারও(DK Shivkumar) ছিলেন।

[আরও পড়ুন: করোনা LIVE UPDATE: আক্রান্ত WHO’র ২ কর্মী, সংক্রমণ ভারতীয় সেনা জওয়ানের শরীরেও]

বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে বুধবার সাতসকালেই বেঙ্গালুরু পৌঁছান দিগ্বিজয় সিং। তাঁর সঙ্গে যান কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারও। দিগ্বিজয়ের দাবি, তাঁদের বিধায়কদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। তাই তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে এসেছেন তিনি। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলছেন, “আমরা আশা করেছিলাম বিধায়করা ফিরে যাবেন। কিন্তু দেখলাম ওদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমি নিজে পাঁচ জনের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের বলেছে, বিধায়কদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। ওদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পুলিশ ওদের নজরে রাখছে।” দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় ক্ষুব্ধ দিগ্বিজয়। বেঙ্গালুরুতে অনশনে বসারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেখা করতে না দিলে বিকল্প পথ ধরতে পারেন তিনি। শিবকুমার বলছেন,”এই পরিস্থিতিতে কী করতে হয়, সেই কৌশলও আমার জানা আছে। আমার পরিকল্পনাও আছে। কিন্তু, আমি চায় না যে করোনার মধ্যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হোক।”

[আরও পড়ুন: করোনার প্রভাব, জমায়েত এড়াতে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম ৫ গুণ বাড়াল রেল]

উল্লেখ্য মঙ্গলবারই কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়করা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, তাঁরা কমল নাথের সরকারের কাজে অসন্তুষ্ট। কারও চাপে নয়, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তারপরই নড়েচড়ে বসে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতারা। তড়িঘড়ি পাঠানো হয় দিগ্বিজয় সিংকে। কিন্তু, তিনিও বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না। এই পরিস্থিতিতে কমল নাথের সরকার বাঁচা নিয়ে সংশয় আরও বাড়ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ