সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের হিজাব ইস্যুতে (Hijab Row) এখনই হস্তক্ষেপ করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। কর্ণাটক হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে একটি স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট দেবদত্ত কামাত। কিন্তু মামলাকারীর করা দ্রুত শুনানির আরজি খারিজ করে দিল আদালত। তবে কর্ণাটক হাই কোর্টকে (Karnataka High Court) দ্রুত এই মামলার রায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Supreme Court refuses to give an urgent hearing on plea challenging interim order of Karnataka High Court.#HijabRow pic.twitter.com/Yr9Qr7RCpO
— ANI (@ANI) February 11, 2022
মামলাকারীর দাবি ছিল, কর্ণাটক হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী রায় শুধু মুসলিম ছাত্রীদের প্রভাবিত করবে। এবং এই রায়ের সুদূরপ্রসারী ফল পড়তে পারে। তাই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এ বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা উচিৎ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আরজি খারিজ করে দিল। ‘এই বিষয়টিকে ন্যাশনাল ইস্যু করবেন না’, মামলাকারীকে অনুরোধ করলেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা।
[আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক নয়, হিজাব মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ কর্ণাটক হাই কোর্টের]
মামলাকারীর দাবি ছিল, এই অন্তর্বর্তী রায়ের ফলে শুধু মুসলিমরাই প্রভাবিত হবে। এর ফলাফল সুদুরপ্রসারী হতে পারে। এই রায়ের ফলে সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদের অবমাননা করা হচ্ছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানায়, কর্ণাটক হাই কোর্ট ইতিমধ্যেই মামলাটির জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করছে। তাছাড়া চূড়ান্ত রায় এখনও ঘোষিত হয়নি। তাই এটা নিয়ে এত বৃহৎ আকারে ভাবার কোনও দরকার নেই। মামলাকারীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ভাল করে ভাবুন, এই ইস্যুগুলিকে দিল্লিতে টেনে আনাটা কি ঠিক? জাতীয় স্তরে টেনে আনা কি ঠিক? যদি কিছু অন্যায় হয়, তাহলে তো আমরা আছিই।”
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফায় ভোটের হার ২০১৭ নির্বাচনের থেকে কম, তবু কেন চিন্তায় বিজেপি?]
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার হিজাব ইস্যুতে একটি অন্তর্বর্তী রায় দেয় কর্ণাটক হাই কোর্ট। আদালত জানিয়ে দেয়, যতদিন না হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন হিজাব-সহ কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না স্কুল ও কলেজে। আদালত জানায়, “ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। আমরা চাই রাজ্যে শান্তি ফিরুক। বিষয়টির যতদিন না নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন যেন কোনওরকম অশান্তির ঘটনা না ঘটে। কেউ যেন ধর্মীয় উসকানি না দেয়।” কর্ণাটক হাই কোর্টের এই রায়কে ‘অদ্ভুত’ বলে দাবি করে এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে এসএলপি বা স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (SLP) দাখিল করেছিলেন অ্যাডভোকেট দেবদত্ত কামাত। কিন্তু সেটা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।