সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচলপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।ভূকম্পনের জেরে দুলে উঠল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ-সহ অন্যান্য অঞ্চলও। সোমবার দুপুরে হওয়া এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে থাকা চম্বা এলাকায়। যদিও এই ভূমিকম্পের জেরে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: ফের কোপ সঞ্চয়ে! ১৫ দিনে দ্বিতীয়বার ফিক্সড ডিপোজিটে সুদ কমাল এসবিআই]
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে হিমাচলপ্রদেশ এবং কাশ্মীর সীমান্তে অবস্থিত চম্বা এলাকায় মাঝারি মাপের ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.০। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ভূকম্পনের সৃষ্টি হয়েছিল। এর ঠিক আধঘণ্টা পরে ১২ টা ৪০ মিনিটে একই জায়গায় ফের ভূমিকম্প হয়। তবে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩.২।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরবেলা আচমকা ভূকম্পনের জেরে চম্বা-সহ আশপাশের একাধিক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। চন্দ্রভাগা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলিতেই বেশি ছিল কম্পনের তীব্রতা।
[আরও পড়ুন: ভেঙে যায়নি ল্যান্ডার বিক্রম, ফের আশার কথা শোনাল ইসরো]
এপ্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ আধিকারিক মুমতাজ আহমেদ জানান, এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর ফলে ওই এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়।
এর আগে শনিবার গভীর রাতেও মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে হিমাচলপ্রদেশের চম্বা জেলা। রাত ১২টা ৫ মিনিটে চম্বা জেলাজুড়ে মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩.৪। রাত গভীর হওয়ায় সেসময় বেশিরভাগ মানুষ ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা এই ঘটনার জেরে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। প্রাণ বাঁচাতে লোকজন নিজেদের বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তবে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি।
হিমাচলের রেশ মিটতে না মিটতেই রবিবার সকাল সাতটা পাঁচ মিনিটে ভূকম্পন অনুভূত হয় অসমের কার্বি আঙলং এলাকাতেও। তবে এখানে তীব্রতা ছিল আরও কম। মাত্র ৩.৩। তবে শুধু অসমই নয়, সাতসকালে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য-সহ মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কাশ্মীরের সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে এর পরিমাণ ছিল ৪.৭।