Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভোপাল

বাবরি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, সাধ্বীর বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ কমিশনের

অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির৷

EC bars BJP Bhopal candidate Pragya Singh Thakur from campaigning
Published by: Tanujit Das
  • Posted:May 1, 2019 9:12 pm
  • Updated:May 1, 2019 9:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের৷ নির্বাচন কমিশনের কোপের মুখে পড়লেন ভোপালের বিজেপি প্রার্থী তথা মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা৷ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশানুযায়ী, ৭২ ঘণ্টার জন্য কোনও রকমের নির্বাচনী কার্যে যোগদান করতে পারবেন না সাধ্বী৷ অংশগ্রহণ করতে পারবেন না প্রচারে৷ বৃহস্পতিবার সকাল ৬ থেকে এই নির্দেশিকা লাগু হবে ভোপালের বিজেপি প্রার্থীর উপর৷

[ আরও পড়ুন: সাত বিধায়ককে ৭০ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছে বিজেপি, অভিযোগ আপ-এর]

Advertisement

যবে থেকে তাঁকে ভোপালের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি, তবে থেকেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা৷ একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিতর্কিত প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিতেই আমরা ওটার মাথায় উঠেছিলাম। বাবরি ধ্বংসের জন্য আমরা কেন অনুশোচনা করব? সত্যি বলতে কি আমার এতে গর্ব হয়৷ ওখানে কিছু বাড়তি অংশ পড়ে ছিল৷ আমরা সেটা পরিষ্কার করেছি৷ বরং এটা আমাদের দেশের সম্মান বাড়িয়েছে৷ আমরা ওখানে প্রভু রামের বড় মন্দির বানাব৷’’ এই মন্তব্যের পরই প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা৷ তাঁর বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে নির্বাচন কমিশন৷ নোটিসের উত্তর দেন প্রজ্ঞা৷ সূত্রের খবর, তবে তাঁর উত্তর খুশি করতে পারেনি কমিশনকে৷ এরফলে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ নিল কমিশন৷ নির্বাচনের মুখে কমিশনের এই সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ভারতে মোদি বক্তব্য রাখলে পাকিস্তানে ইমরানের ঘাম ঝরে, কটাক্ষ যোগীর ]

কেবল বাবরিই নয়, তার আগে মুম্বই হামলায় শহিদ হেমন্ত কারকারেকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন সাধ্বী প্রজ্ঞা৷ জানান, তাঁর অভিশাপেই মৃত্যু হয়েছে মুম্বই হামলার শহিদ হেমন্ত কারকারের৷ তাঁর অভিযোগ, জেলে থাকাকালীন তাঁর উপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছিলেন হেমন্ত কারকারে৷ সাধ্বীর এই মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমে পড়ে বিরোধী দলগুলি। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে কংগ্রেস। তীব্র নিন্দা করে আইপিএসদের সংগঠন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। যদিও পরে সমালোচনার মুখে নিজের বয়ান বদল করেন সাধ্বী। এমনকী, কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংকে সন্ত্রাসবাদীরও তকমা দেন তিনি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ