সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে ভারতের অর্থনীতি। অন্তত তেমনটা দাবি করা হল আর্থিক সমীক্ষায়। বাজেটের আগে শুক্রবার সংসদে আর্থিক সমীক্ষার (Economic Survey) রিপোর্ট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। যাতে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে দেশের সার্বিক সম্পদ বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬ থেকে ৬.৫ শতাংশ। আর চলতি অর্থবর্ষে এই হার শেষপর্যন্ত গিয়ে থামতে পারে ৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.২ শতাংশ। এ বছর তো বটেই, আগামী বছরও সেই সংখ্যাটা ছুঁতে পারবে না অর্থনীতি। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন এখন অধরাই থাকছে।
Economic Survey: Inflation declines sharply from 3.2% in April 2019 to 2.6% in December 2019, reflecting weakening of demand pressure in the economy https://t.co/F7P4yW2Pde
— ANI (@ANI) January 31, 2020
[আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত দেশপ্রেমী’, জামিয়ায় হামলাকারীকে সম্মানিত করবে হিন্দু মহাসভা]
গতবছর আর্থিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার হবে ৭ শতাংশ। কিন্তু, সেই নির্ধারিত লক্ষ্যের ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেনি অর্থনীতি। উলটো অধঃপতন হয়েছে অনেকটাই। বৃদ্ধির পরিবর্তে নেমে এসেছে পাঁচ শতাংশে। যা কিনা সাম্প্রতিক অতীতে সর্বনিম্ন। তারপরও আশাবাদী মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ডঃ কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম। তিনি বলছেন, আপাতত দেশে মন্দার পরিস্থিতি থাকলেও আগামী অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার একলাফে অনেকটাই বাড়বে। তবে, সেজন্য বিনিয়োগ এবং সংস্কার ক্ষেত্রে আরও জোর দিতে হবে সরকারকে। বাজেটের ঠিক আগে এই আর্থিক সমীক্ষা সরকারকে কিঞ্চিৎ স্বস্তি দিলেও, এতে আদৌ মন্দার পরিস্থিতির উন্নতি হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে বিশেষজ্ঞদের।
[আরও পড়ুন: মমতা-কেজরির ‘বন্ধুত্ব’, দিল্লি বিধানসভা ভোটে আপকে সমর্থন তৃণমূলের]
মূখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলছেন, শিল্পক্ষেত্রে সংস্কারে বেশি জোর দিলে আগামী বছরে বাড়তে পারে বিনিয়োগ। আর বিনিয়োগ বাড়লে অর্থনীতি আরও সড়গড় হবে। আর্থিক সমীক্ষায় স্বীকার করা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতিতেও। আর সেকারণেই, আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া স্তরে আগের তুলনায় বিনিয়োগ অনেকটা কমেছে। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দশটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়। এতে বলা হয়েছে, সরকারকে দ্রুত সংস্কারের কাজে মন দিতে হবে। কারণ, এটাই অর্থনীতির গতি ফেরানোর একমাত্র উপায়।