Advertisement
Advertisement
Delhi Violence

দিল্লি হিংসায় কোটি টাকা ঢেলেছেন বহিষ্কৃত আপ নেতা তাহির হোসেন! চার্জশিট দিল ED

একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে তাহির আর্থিক লেনদেন করেছেন বলে অভিযোগ।

Bengali news: ED files chargesheet against Tahir Hussain in money laundering case connected with Delhi Violence | Sangbad Pratidin

ফাইল ফটো

Published by: Paramita Paul
  • Posted:October 17, 2020 8:46 pm
  • Updated:October 17, 2020 10:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও বিপাকে বহিষ্কৃত আপ কাউন্সিলর তাহির হোসেন। শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিল্লি হিংসায় টাকা ঢালার অভিযোগ রয়েছে তাহিরের বিরুদ্ধে। সেই অর্থের জোগানের জন্য একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে আর্থিক লেনদেন করেছেন তিনি, এমনই অভিযোগ রয়েছে চার্জশিটে। 

দিল্লি হিংসায় মদত দেওয়ার নাম জড়ায় তাহির ও তাঁর সঙ্গী অমিত গুপ্তার। একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে তার মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জালিয়াতি করার অভিযোগ রয়েছে দুজনের বিরুদ্ধে। সেই টাকা দিল্লি হিংসায় উসকে দিতে ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ। তারই তদন্ত করছে ইডি। শনিবার সেই তদন্তে চার্জশিট দাখিল করল আদালতে। কোর্টের তরফে দুজনকে সমন পাঠানো হয়েছে। ১৯ অক্টোবর দুজনের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইডির দাবি, প্রাথিক তদন্তে তাহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘লাদাখের সঙ্গে সৎ মায়ের মতো আচরণ করেছে কংগ্রেস’, বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]

কিছুদিন আগেই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA)-এর বিরোধী এবং সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। চারদিন ধরে চলা এই সাম্প্রদায়িক অশান্তির জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মা। বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পরে রাস্তার ধারে থাকা ড্রেন থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্তেই উঠে আসে আম আদমি পার্টির স্থানীয় কাউন্সিলর তাহির হোসেনের নাম। এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করেন আপ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে খুন ও অশান্তির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে দেখে পালিয়ে যান তাহির। পরে অবশ্য তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন : নারী নির্যাতন রুখতে যোগীরাজ্যের নয়া প্রকল্প ‘মিশন শক্তি’, নবরাত্রিতে হয়ে গেল সূচনা]

গত ৯ মার্চ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় তাহির হোসেনের ভাই শাহ আলমও। এমনকী তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও ধৃত তাহির বারবার দাবি করেছেন, আইবি আধিকারিক অঙ্কিত শর্মাকে যখন খুন করা হয়, সেসময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন না। তাঁর বাড়ির দখল নিয়েছিল দাঙ্গাবাজরা। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ