সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পণের দাবিতে প্রাক্তন বিচারপতির বাড়িতেই গৃহবধূকে হেনস্তা। মারধরের পাশাপাশি দু’টি সন্তানকে কেড়ে রেখে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি গার্হস্থ্য হিংসার সিসিটিভি ফুটেজ নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ছবি যে দেখছেন সেই আঁতকে উঠছেন। বিচারপতির বাড়িতে গৃহবধূকে অত্যাচারের ঘটনায় অনেকেই বলছেন, রক্ষকই নাকি ভক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
[আরও পড়ুন: পুজোর পরই ২ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, দিনক্ষণ ঘোষণা করল কমিশন]
ভাইরাল হওয়া এই সিসিটিভি ফুটেজে যাঁকে দেখা গিয়েছে তিনি বছর তিরিশের সিন্ধু শর্মা। কয়েক বছর আগে নুতি ভাসিস্তের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। দু’টি সন্তানও রয়েছে সিন্ধুর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করা হত তাঁকে। শ্বশুর-শাশুড়ি দু’জনেই হায়দরাবাদ হাই কোর্টের বিচারক হওয়া সত্ত্বেও অত্যাচার কমেনি বলেও দাবি গৃহবধূর। সম্প্রতি এমনই একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর নির্যাতিতাকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভরতি করা হয়। স্থানীয় থানাতেও শ্বশুর, শাশুড়ি এবং স্বামীর বিরুদ্ধে পণের দাবিতে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধূ।
[আরও পড়ুন: মন্দা রুখতে জিএসটিতেও ব্যাপক ছাড়, ১ অক্টোবর থেকে সস্তা বেশ কিছু জিনিস]
গৃহবধূর অভিযোগ, এই ঘটনার ঠিক সপ্তাহখানেক আগেও তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়। শ্বশুর-শাশুড়ি দু’টি সন্তানকে কেড়ে নিয়েছিল বলেও অভিযোগ তরুণী গৃহবধূর। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অনেক সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেই জানান গৃহবধূ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ শ্বশুর, শাশুড়ি এবং স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক, এমনই দাবি নির্যাতিতার। তবে অভিযুক্ত প্রাক্তন বিচারপতির দাবি, সিন্ধু আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন। তাই তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছিল। সিন্ধুর পোশাকের তলায় কীটনাশক লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে দাবি প্রাক্তন বিচারপতির। সিন্ধুর বিরুদ্ধে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টারও অভিযোগ করেছেন ওই প্রাক্তন বিচারপতি নুটি রামমোহন রাও। আপাতত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
@mkatju there is some error in selecting good judges of moralRT @panditjipranam: In the video you can see the retired Chief Justice of Tamil Nadu Justice Nooty Ram Mohan Rao bashing and manhandling his daughter in law with the support of his wife and son. pic.twitter.com/E7LTVoXMy0
— aparna (@ntyaga) September 21, 2019