সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে খানিকটা হলেও সুর নরম করল মোদি সরকার। দিল্লির শাহিনবাগে দীর্ঘদিন ধরে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শনিবার টুইট করে নিজেই সে কথা জানান মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। তবে শর্তসাপেক্ষে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি তিনি।
সামনেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শাহিনবাগের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তৎপর হয়েছে বিজেপি সরকার। আর সেই কারণেই প্রতিবাদীদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন টুইটারে রবিশংকর প্রসাদ লেখেন, “শাহিনবাগের বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি সরকার। তবে সঠিক পদ্ধতি মেনে সমস্যার কথা জানাতে হবে। তবেই মোদি সরকার তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে তাঁদের যা ভুল ধারণা রয়েছে সব দূর করা হবে।” টুইটটির সঙ্গে নিজের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যেখানে তিনি সিএএ নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরবাসীর মন পেতে কল্পতরু কেন্দ্র, বড়সড় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের]
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই রাজধানীর বুকে অরাজনৈতিক এবং অহিংস আন্দোলন চলছে। শাহিনবাগের এই আন্দোলনের মুখ মূলত মহিলারা। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চাইছেন। কিন্তু সরকারের তরফে উলটো প্রতিক্রিয়া মিলেছে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এই বিক্ষোভই এখন টার্গেট বিজেপির। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের দুই নেতা শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এই বিক্ষোভের সমর্থনকারীদের দেশদ্রোহী বলে কটাক্ষ করেছেন।
তবে এসব ছাপিয়ে যান পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রবেশ কুমার সং বর্মা। তিনি সরাসরি বিক্ষোভকারীদের ধর্ষক ও খুনি বলে দেন। দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের এক ঘণ্টার মধ্যে হটিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। বাংলার বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষও শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। এত কুকথার পরও অবশ্য আন্দোলনের পথ থেকে পিছু হঠতে নারাজ প্রতিবাদীরা। তবে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্বার্থেই শাহিনবাগ নিয়ে ভোল বদলাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।