Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঋতুস্রাব

অন্তর্বাস খুলে ছাত্রীদের হেনস্তার জের, গ্রেপ্তার গুজরাটের কলেজের প্রিন্সিপাল-সহ ৪

শাস্তি দিলেও কি ঋতুস্রাব নিয়ে বাড়বে সচেতনতা?

Gujarat college row: Principal, 3 others sent to police custody
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:February 18, 2020 3:23 pm
  • Updated:February 18, 2020 3:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের কচ্ছে শাহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটে ছাত্রীরা ঋতুমতী কিনা জানতে অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা করে দেখেন কলেজের অধ্যক্ষা। কলেজের হস্টেল (Hostel) থেকে তাঁদের বের করে নিয়ে গিয়ে শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে ‘অপমান’ও করেন। এই ঘটনার অপরাধে কলেজের অধ্যক্ষা-সহ ৪ জনকে দু দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল গুজরাট আদালত। কলেজের কো-অর্ডিনেটর, সুপারভাইজার ও মহিলা পিওনকে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। এই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার তাদের আদালতে তোলা হলে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গুজরাটের শাহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ড জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে এই ঘটনার জন্য লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে নেয় ও ঘটনার তীব্র নিন্দা করে। ঘটনার পর জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রাহুল এল দেশাই কলেজের অধ্যক্ষা রীতা রাঙ্গিয়াকে ডেকে একটি বৈঠক করেন ও ঘটনার বিশদে ব্যাখ্যা চান। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকও। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয় ট্রাস্টি বোর্ডের তরফ থেকে। ঘটনার সূত্রপাত ঘটে শুক্রবার কলেজের বাগানে ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন পড়ে থাকতে দেখে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ৬৮ জন ছাত্রীদের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের হেনস্তা করেন কলেজের অধ্যক্ষা। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে কলেজের হস্টেলের নিয়মভঙ্গের অভিযোগও করেন তিনি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission for Women)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সফরের জের, বস্তিবাসী ৪৫টি পরিবারকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস আমেদাবাদে]

Advertisement

সমাজে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘরে ঘরে স্মার্টফোনের ব্যবহার শুরু হলেও এখনও ঋতুস্রাব নিয়ে খোলা মনে কথা বলতে ঢাক ঢাক গুরগুর রয়েই গিয়েছে। সমাজে কমবেশি সকলের কাছেই ঋতুস্রাব শব্দটি পরিচিত ‘শরীর খারাপ’ হিসেবে। মহিলাদের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বিস্তর কথা বলা হলেও ঋতুস্রাব হলে এখনও বেশিরভাগ মহিলাদের অশুচি বলে মনে করা হয়। তাদের দূরে রাখা হয় সকল আচার অনুষ্ঠান থেকেই। ফলে সমাজে উন্নয়নের আলো জ্বালতে গিয়ে প্রদীপের তলানিতেই রয়ে গিয়েছে আঁধার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ