সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার শুনানি বুধবার। সোমবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে এই মামলায় দ্রুত শুনানির আবেদনে সম্মতি দিয়েছেন।
এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, গোটা বিষয়টি তেলেঙ্গানা হাই কোর্ট দেখছে। তা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার শুনানি হবে। এর আগে, তেলেঙ্গানা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আজ সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত এনকাউন্টারে নিহত চার অভিযুক্তর দেহ রেখে দিতে হবে। আজ হাই কোর্টেও সেই মামলার শুনানি।
[আরও পড়ুন: মুসলিমদের জমি দেওয়ার দরকার নেই, অযোধ্যা রায় পুনর্বিবেচনার আরজি হিন্দু মহাসভার]
হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তেল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল চার অভিযুক্তকে। গত শুক্রবার ভোরে ঘটনা পুনর্নির্মাণের জন্য সামশাবাদের কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চারজনকে। সেখানেই পুলিশের উপর হামলা করে অভিযুক্তরা। আত্মরক্ষার স্বার্থে চারজনেরই এনকাউন্টার করা হয় বলে জানিয়েছিল হায়দরাবাদ পুলিশ। কিন্তু এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন দুই আইনজীবী জিএস মণি এবং প্রদীপ কুমার যাদব। ঘটনার পরের দিনই পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সর্বোচ্চ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
Supreme Court to hear on December 11 a petition seeking registration of FIR, investigation and action against police personnel involved in encounter of four accused in rape and murder of woman veterinarian in Telangana. pic.twitter.com/W4GT3CLjhY
— ANI (@ANI) December 9, 2019
দুই মামলাকারীর দাবি, এনকাউন্টারে জড়িত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে। হায়দরাবাদের সাইবারাবাদ বিভাগের পুলিশ কর্মীরা অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের সময় সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মানেনি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট পুলিশি এনকাউন্টার সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন নির্ধারণ করে দেয়। যাতে মোট ১৬টি দফার উল্লেখ রয়েছে। দুই আইনজীবীর দাবি, হায়দরাবাদের অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের সময় তা মানা হয়নি। শুধু তাই নয়, বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আরও একটি আবেদন জমা পড়েছে। আইনজীবী এম এল শর্মার ওই আবেদনে বলা হয়েছে, পুরো তদন্ত প্রক্রিয়াটি সুপ্রিম তত্ত্বাবধানে করা হোক। এছাড়াও, দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল এবং রাজ্যসভা সাংসদ জয়া বচ্চনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। মামলাকারীর অভিযোগ, এঁরা দু’জন বিচারব্যবস্থার বাইরে হওয়া খুনকে সমর্থন করেছেন।