সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিমদের পাঁচ একর জমি দেওয়ার দরকার নেই। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে এই দাবিই জানাল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। গত ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিতর্কিত জমির মালিকানা হিন্দুদের বলে স্বীকার করে সেখানেই রাম মন্দির তৈরি করতে বলে। পাশাপাশি অযোধ্যাতেই মুসলিমদের পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই বিষয়টিতেই আপত্তি হিন্দু মহাসভার।
[আরও পড়ুন: ধর্ষকদের চরম শাস্তির দাবিতে উত্তাল উন্নাও, বরখাস্ত ৭ পুলিশকর্মী]
তাদের কথায়, রায় দেওয়ার সময় আদালত স্পষ্ট জানিয়েছিল ওই জমির মালিকানা হিন্দুদের। এই বিষয়ে তারা মুসলিমদের থেকে অনেক বেশি যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ জমা দিয়েছে। তার ভিত্তিতেই ওই জমিতে রাম মন্দির তৈরির নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আদালত যদি কাগজপত্রের ভিত্তিতেই একথা বলে থাকে তাহলে মুসলিমদের পাঁচ একর জমি দেওয়ার কোনও কারণ নেই। এই জন্য সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ৭০ বছর ধরে চলা অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য মোট ছটি আবেদন আদালতে জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রথম আবেদনটি হল জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দের। তারা ছাড়াও আবেদন জমা দিয়েছেন মৌলানা মুফতি হাসবুল্লা, মৌলানা মাফজুর রহমান, মিসবাউদ্দিন, মহম্মদ উমর ও হাজি নাহবুব। তাঁদের হয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। তবে হিন্দুদের দিক থেকে এই প্রথম রায় পুনর্বিবেচনার আরজি জানান হল। আর তা জানাল হিন্দু মহাসভা।
[আরও পড়ুন: এ দেশ কার? নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে উত্তাল উত্তর-পূর্ব]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে নিজের অফিসের মধ্যে নৃশংসভাবে খুন হন হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন সভাপতি কমলেশ তিওয়ারি। মূলত তাঁর উদ্যোগেই ২০১১ সালে অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল হিন্দু মহাসভা। পরে কমলেশ দায়িত্ব ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। আর হিন্দু মহাসভার দায়িত্ব নেন শিশির চর্তুবেদী।