Advertisement
Advertisement

Breaking News

GDP

অর্থনীতি সংকুচিত হবে ১০ শতাংশেরও বেশি, ভারতের জিডিপি নিয়ে পূর্বাভাস ফিচের

চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি কমেছে ২৩.৯ শতাংশ।

Indian GDP may witness deep plunge, predicts survey
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 9, 2020 2:27 pm
  • Updated:September 9, 2020 2:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি কমেছে ২৩.৯ শতাংশ। মঙ্গলবার ফিচ রেটিংস পূর্বাভাস সংশোধন করে জানাল, ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হবে ১০.৫ শতাংশ। দেশের অর্থনীতি যে আরও সংকটে পড়তে চলেছে, তারই ইঙ্গিত দিয়েছে ফিচ রেটিংস।

[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ফের ৯০ হাজারের দোরগোড়ায়, চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা]

করোনা মহামারী ঠেকাতে গত মার্চে দেশ জুড়ে লকডাউন করা হয়। অর্থনীতি সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বিশ্বব্যাপী জিডিপি-র হার সামান্য হলেও বাড়বে বলে জানিয়েছে ফিচ। আগে তারা জানিয়েছিল, বিশ্বব্যাপী জিডিপি ৪.৬ শতাংশ সংকুচিত হবে। নতুন পূর্বাভাসে ৪.৪ শতাংশ হারে সংকোচন হবে বলে মনে করছে ফিচ। “চিন ইতিমধ্যে করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে গিয়েছে। আমেরিকা, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন জিডিপি এবং খুচরা বিক্রিতে করোনার আগের অবস্থায় ফিরেছে। কিন্তু এখনও তা কতটা জোরাল হবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। ইউরোপে বেকারত্বের ধাক্কা যথেষ্ট বড় ধরনের, সংস্থাগুলি মূলধন কমাচ্ছে এবং সামাজিক দূরত্ব সরাসরি বেসরকারি সংস্থাগুলিকে খরচে রাশ টানতে বাধ্য করছে”, বলেছেন অর্থনীতিবিদ ব্রায়ান কুলটন। ফিচ-এর মতে, মার্কিন অর্থনীতি সংকুচিত হবে ৪.৬ শতাংশ। আগে ৫.৬ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস করেছিল তারা। জুনে চিনের জিডিপি ১.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। নতুন পূর্বাভাসে তা ২.৭ শতাংশ হবে বলে ফিচ পূর্বাভাস করেছে।

Advertisement

২০২০ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জিডিপি ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু অর্থনীতি বিকাশের হার স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে যথেষ্ট। এনএসও ডাটা প্রকাশ করে কেন্দ্র অবশ্য জানিয়েছিল, প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি’র হার আরও কমতে পারে। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সেক্টর থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসার পর তা সংশোধিত করা হবে। ফিচ গ্রুপের মুখ্য অর্থনীতিবিদ সুনীল কুমার সিনহা জানান, গতিশীলতা, ব্যয় বা চাহিদা বৃদ্ধির সমস্ত তথ্য-পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দিচ্ছে, আর্থিক বৃদ্ধির হার ফের চাঙ্গা করা সম্ভব। কিন্তু তা হবে অত্যন্ত শ্লথ গতিতে। ফিচ জানিয়েছে, জুনের বিশ্বব্যাপী আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গির (গ্লোবাল ইকনমিক আউটলুক) দিকে নজর রেখেই জিডিপি’র পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। সরকারি সাহায্য যথেষ্ট না মেলায় কর্পোরেট সেক্টর ও ব্যক্তিগত আয় অনেকটা ধাক্কা খেয়েছে। ব্যাঙ্কের মূলধনে ধাক্কা, মুদ্রাস্ফাতির আশঙ্কা বৃদ্ধির হারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২১ সেপ্টেম্বর শুরু স্কুলের আংশিক পঠনপাঠন, জেনে নিন কোন কোন নিয়ম বাধ্যতামূলক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ