সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে আছড়ে পড়ছে করোনা (COVID-19) সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে সংক্রমণ। তবু হুঁশ ফিরছে না আমজনতার। উৎসব-মেলা-সমাবেশে মেতে তাঁরা। আর তাঁদের সচেতন করতে গেলে পালটা আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনিক কর্তাদের। এমনকী, তাঁদের মারধরও করা হচ্ছে। শুক্রবার এমনই এক অমানবিক ঘটনার সাক্ষি রইল ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) সরাইকেল্লার পুলিশ আধিকারিকরা।
করোনার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই সরাইকেল্লার বামনি গ্রামে এক গ্রামে মেলা বসেছিল। জমায়েত করছিলেন বহু মানুষ। সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন এই আশঙ্কায় মেলা বন্ধ করতে উদ্যোগী হন স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা মেলা প্রাঙ্গনে হাজির হন শুক্রবার। উদ্দেশ্য ছিল, কর্তৃপক্ষকে মেলা বন্ধ করার বিষয় বোঝানো। কথা বলা তো দূরে থাক, পুলিশ প্রশাসনিক কর্তাদের আসতে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মেলা বন্ধ করতে গেলে পুলিশ, প্রশাসনিক কর্তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে উপস্থিত জনতা। শতাধিক মানুষ তাঁদের ঘিরে ফেলে। শুরু হয় অকথ্য গালিগালাজ। পরিস্থিতি এমন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে শুরু করেন প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্তাব্যক্তিরা। তাতেও রেহাই মেলেনি। এলাকাবাসী তাঁদের ধাওয়া করে। নিকটবর্তী থানায় ফোন করে অতিরিক্ত ফোর্স চেয়ে পাঠানো হয়। অতিরিক্ত বাহিনী এলে তাঁদের ঘিরে ইট ছুঁড়তে শুরু করে উন্মত্ত জনতা। তাদের আক্রমণে জখম হন একাধিক পুলিশ কর্মী। পরে অবশ্য ৮ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সরাইকেল্লার পুলিশ সুপার মহম্মদ আরশি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেন। তিনি জানিয়েছেন, মেলা বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.