Advertisement
Advertisement
জেডিএস

কর্ণাটকে বিজেপি সরকারকে সমর্থন করবে জেডিএস? জল্পনা উসকে দিলেন বিধায়ক

কর্ণাটকের স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারে বিজেপি।

Karnataka: JDS takes U-turn, may support BJP form outside
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 28, 2019 9:35 am
  • Updated:July 28, 2019 9:35 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে এবার বিজেপি সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করবে জেডিএস? দলের এক বিধায়কের মন্তব্যে সেই জল্পনাই উসকে গিয়েছে। জেডিএস বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জি টি দেবগৌড়া শনিবার জানিয়েছেন, দলের কয়েকজন বিধায়ক বিজেপি সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সদ্য প্রাক্তন হয়ে পড়া মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। আগামিদিনে দলের লক্ষ্য ঠিক করতে শুক্রবার বেশ কয়েকজন জেডিএস বিধায়ক কুমারস্বামীর সঙ্গে দেখা করেন। ক্ষমতা হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই জেডিএস বিধায়কদের মধ্যে মতপার্থক্য সামনে এসে পড়েছে। জি টি দেবগৌড়া সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। শনিবার জি টি দেবগৌড়া বলেন, “শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে কুমারস্বামীর সঙ্গে দলের বেশিরভাগ বিধায়ক দেখা করেন। ওই বৈঠকে বিধায়কদের অনেকেই বিরোধী আসনে বসার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে কয়েকজন বিধায়ক বিজেপি সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করার পরামর্শ দিয়েছেন।”

[আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়পাল রেড্ডি, রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া]


যদিও জেডিএস সুপ্রিমো কুমারস্বামী সেসব জল্পনায় জল ঢালছেন। তিনি বলছেন, এই ধরনের দাবির কোনও সারবত্তা নেই। বিজেপিকে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না। রাজনৈতিক মহল বলছে, দলের অন্দরে দাবি উঠলেও এখনই বিজেপিকে সমর্থন করার মতো পরিস্থিতিতে নেই জেডিএস। কারণ, দিন তিনের আগে পর্যন্তও বিজেপিকে তুলোধোনা করছিলেন জেডিএস নেতারা। সেক্ষেত্রে ক্ষমতার লোভে বিজেপিকে সমর্থন করলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে না। তবে, জেডিএসের অন্দরে যে বিজেপিকে সমর্থন করার দাবি উঠছে, তা স্পষ্ট।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লাস্যময়ী পোলিং অফিসারকে মনে আছে? বিয়ের আসরে নেচে মাতালেন তন্বী]

পাঁচদিন হয়ে গিয়েছে কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট ক্ষমতা হারিয়েছে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু সরকার বদল হলেও এখনও স্পিকারের পদে ইস্তফা দেননি কে আর রমেশকুমার। রমেশকুমার স্বেচ্ছায় ইস্তফা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সাধারণত শাসক দলেরই কোনও বিধায়ক স্পিকার পদে নির্বাচিত হন। তাই সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে রমেশকুমারেরও ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সরকার বদলের পাঁচদিন পরেও রমেশকুমার ইস্তফা না দেওয়ায় তাঁকে আকারে ইঙ্গিতে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। দলের এক বিধায়ক শনিবার বেঙ্গালুরুতে বলেছেন, “রমেশকুমার স্বেচ্ছায় স্পিকারের পদে ইস্তফা না দিলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনব। স্পিকার কী করেন আমরা লক্ষ্য রাখছি। তবে এখন আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল আস্থাভোটে জয়লাভ করা এবং সোমবার অর্থবিল পাস করিয়ে নেওয়া। আস্থাভোটে জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা রমেশকুমারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনব।” ওই বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, বিরোধী দল থেকে কীভাবে স্পিকার নির্বাচিত হতে পারে? দু’দিন আগে তিন বিধায়কের পদ খারিজ করে দিয়েছেন রমেশকুমার। চলতি মাসের প্রথম দিকে কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৫ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু ওই বিধায়কের ইস্তফাপত্র এখনও গ্রহণ করেননি স্পিকার। এরই মধ্যে স্পিকার জানিয়েছেন, দু’ একদিনের মধ্যেই তিনি ওই বিধায়কদের ইস্তফার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ