ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারবার বারণ করা সত্ত্বেও প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেনি মেয়ে। সেই রাগে সুপারি কিলার দিয়ে কন্যাকে খুনের পরিকল্পনা করল বাবা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত বাবা এবং সুপারি কিলারকে। জানা গিয়েছে, ডাক্তারের ছদ্মবেশে এসে ভুল ইনজেকশন দিয়ে ওই তরুণীকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবারে। ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর ভাবে আহত হন ওই তরুণী। তখনই তাঁর বাবা অভিযুক্ত নবীন কুমার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ভরতি করা হয় আহত তরুণীকে। কী করে তিনি ছাদ থেকে পড়লেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে নবীন জানান, ছাদে অনেকগুলি বাঁদর এসেছিল। তাদের দেখে ভয় পেয়ে পালাতে গিয়েই ছাদ থেকে পড়ে যান তাঁর মেয়ে। চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন ওই তরুণী।
কিন্তু হঠাৎই মাঝরাতে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আহত তরুণীকে। মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যেই ফিউচার প্লাস নামে একটি হাসপাতালে মেয়েকে ভরতি করেন নবীন। তারপরেই তরুণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সন্দেহ হওয়ায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তখনই ধরা পড়ে, চিকিৎসকের পোশাক পরে কেবিনে ঢুকেছেন এক ওয়ার্ড বয়। তরুণীকে একটি ইনজেকশন দিয়ে তিনি বেরিয়ে যান।
শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা যায়, অতিরিক্ত পরিমাণে পটাশিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া হয়েছে তরুণীর দেহে। সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জেরার সময় নরেশ কুমার নামে ওই ওয়ার্ড বয় সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করেন। তিনি জানান, এক মহিলা কর্মীর সাহায্য নিয়ে তিনি আইসিইউতে ঢুকে ইনজেকশন দেন। তরুণীর বাবা নবীন কুমার তাঁকে এক লক্ষ টাকা দিয়ে এই কাজ করতে বলেছিলেন। নরেশের (Contract Killer) কাছ থেকে ইনজেকশনের ভাঙা সিরিঞ্জ এবং নব্বই হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নরেশের বয়ানের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত নবীন কুমারকে। সেই সময়ে তিনি জানান, বারবার মেয়েকে অনুরোধ করেছিলেন প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে। কিন্তু সেই কথা শোনেনি মেয়ে। সেই সঙ্গে আরও জানান, বাঁদরের ভয়ে নয়, নিজেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন তাঁর মেয়ে। তবে আহত তরুণীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোনও তথ্য জানা যায়নি। মোদীপুরম এলাকার পুলিশ সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.