সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি দেশবাসী। ধর্ষকদের ফাঁসি হওয়ার পরও বেদনাদায়ক সেই ঘটনার ক্ষত দগদগে। তারই মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে ঘটে গেল ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার আরেক নৃশংস ঘটনা। মাত্র ১২ বছরের নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচার চালিয়ে তাকে খুনের চেষ্টা করল অপরাধীরা। দিল্লির এইমসের (AIIMS) বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নাবালিকা। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কারও খোঁজ পায়নি পুলিশ। পকসো (POCSO Act) আইনে মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, দিল্লির পশ্চিম বিহারের বাসিন্দা এই নাবালিকা। মা,বাবা, দিদির সঙ্গে থাকত সে। তাঁরা সকলেই একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করেন। বুধবার দুপুরের সে বাড়িতে একা থাকার সুযোগে জনা কয়েক দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে। চলে লাগাতার যৌন অত্যাচার। পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরে মেয়েটিকে মেঝেতে শুয়ে কাতরাতে দেখেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল সে। পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুযায়ী, যৌন অত্যাচারের পর তাকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। মাথায়, মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন মিলেছে। এই অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে নাবালিকাকে উদ্ধার করে প্রথমে নিকটবর্তী সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকলে মেয়েটিকে দিল্লির এইমসে রেফার করা হয়।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের কুলগামে ফের জঙ্গি হামলা, বাড়ির সামনে খুন বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান]
এইমসে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা দ্রুত নাবালিকার চিকিৎসা শুরু করেন। তবে আশার কথা তেমন কিছুই শোনাতে পারেননি তাঁরা। মৃত্যুর সঙ্গে কঠিন লড়াই লড়ছে ১২ বছরের মেয়েটি। কে বা কারা এর জন্য দায়ী, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চিত ধারণাই করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। কারণ, এমন ঘটনার কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না তাঁরা।
[আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় লন্ডভন্ড মুম্বই, ফোনে উদ্ধবকে সাহায্যের আশ্বাস মোদির]
পশ্চিম বিহার পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়েই তাঁরা তদন্তে নেমেছেন। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা এলাকার মধ্যেই গা-ঢাকা দিয়েছে বলে অনুমান তাঁর। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার। তবে এই ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিল, দিল্লি আছে দিল্লিতেই। নাবালিকা হোক কিংবা তরুণী – নারী নিরাপত্তায় এখনও সেই তিমিরেই দেশের রাজধানী।