Advertisement
Advertisement

Breaking News

INS Viraat

চল্লিশ শতাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে, রণতরী বিরাটের পুনর্নির্মাণ প্রায় অসম্ভব!

২০১৭ সালের আগস্টে অবসর নিয়েছিল যুদ্ধজাহাজটি।

Nearly Impossible To Reassemble Aircraft Carrier Viraat Now! | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 11, 2021 1:13 pm
  • Updated:February 11, 2021 1:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধ্বংসের মুখে ভারতীয় নৌসেনার ঐতিহ্যবাহী রণতরী আইএনএস বিরাট (INS Viraat)। জাহাজটিকে মিউজিয়াম বানানোর দাবি সত্ত্বেও গুজরাটের আলং শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে ভেঙে ফেলা হচ্ছিল সেটিকে। কিন্তু বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্থগিত রয়েছে সেই কাজ। কিন্তু বর্তমানে যে সংস্থার হাতে বিরাটের মালিকানা রয়েছে তাদের দাবি, ৪০ শতাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে জাহাজটিকে, এর পুনর্নির্মাণ প্রায় অসম্ভব।

[আরও পড়ুন: ‘আত্মনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন’, দীনদয়াল উপাধ্যায়ের পুণ্যতিথিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি মোদির]

নৌসেনার সঙ্গে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীটির সম্পর্ক প্রায় ৩০ বছরের। ২০১৭ সালের আগস্টে অবসর নিয়েছিল যুদ্ধজাহাজটি। তারপর সেটিকে নিলামে কিনে নেয় ‘শ্রীরাম গ্রুপ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। শুরু হয় জাহাজটির ‘অন্তিম যাত্রা’। মুম্বইয়ের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে বিরাট পৌঁছায় গুজরাটে। সেখানকার আলং শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিরাটকে ভেঙে ফেলার প্রস্তুতি শুরু হয়। কথা ছিল, জাহাজটিকে বিক্রি করে দেওয়া হবে বর্জিতাংশ হিসেবে। সেই কিন্তু বুধবার সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা পেয়েছে ভারতের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী রণতরী আইএনএস বিরাট।

Advertisement

এবার প্রশ্ন হচ্ছে জাহাজটির পুনর্নির্মাণ কি সম্ভব? ‘শ্রীরাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, গত বছর ৩৮.৫৪ কোটি টাকার বিনিময়ে জাহাজটিকে কিনে নেয় তাঁর সংস্থা। গত ডিসেম্বর থেকেই আলংয়ে জাহাজটিকে ভাঙার কাজ চলছে। রণতরীটির ৪০ শতাংশ কাঠামো ইতিমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। এবার সেই টুকরোগুলিকে খুঁজে জাহাজটির পুনর্নির্মাণ প্রায় অসম্ভব।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের সামনে প্যাটেল বলেন, “আমরা জাহাজটির কাঠামো অনেকটাই ভেঙে ফেলেছি। ফলে নতুন কিছু করা সম্ভব নয়। মূল কাঠামোর অনেকটাই ভেঙে ফেলায় এবার জাহাজটি আর ভেসে থাকতে পারবে বলেও আমার মনে হয় না।” সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত শীর্ষ আদালত থেকে আমরা কোনও নোটিস পাইনি। যদি তেমন কোনও নোটিস আমরা পাই তাহলে নির্দেশ মেনে আমাদের আইনজীবী জবাব দেবেন।”

উল্লেখ্য, বিরাটকে ভেঙে বর্জিতাংশ হিসেবে বিক্রির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিল ‘Envitech Marine Consultants Pvt. Ltd’ নামের একটি সংস্থা। এর আগে বিরাটকে কেনার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তারা। যদিও সেই আরজি খারিজ করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ১০০ কোটি টাকার বিনিময়ে জাহাজটি কিনে সেটিকে একটি মিউজিয়ামে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। দীর্ঘ তর্ক-বিতর্কের পর আপাতত জাহাজটিকে ভেঙে ফেলতে নিষেধ করেছে আদালত। পাশাপাশি, রণতরীটির বর্তমান মালিকের কাছে এই মর্মে মতামত জানতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

[আরও পড়ুন: ‘ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে’, টুইটারের শীর্ষকর্তাদের হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের, হতে পারে গ্রেপ্তারিও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ