Advertisement
Advertisement
চিন

নয়া নীতিতে নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি, FDI নিয়ে চিনা ক্ষোভের জবাব দিল্লির

চিনের অভিযোগ, অবাধ বাণিজ্যের শর্ত লঙ্ঘন করেছে ভারত।

No violation of rules, India tells China on FDI policy
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 22, 2020 8:41 am
  • Updated:April 22, 2020 8:41 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ রুখতে ভারতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। বহু সংস্থা ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাতে কোনও বিদেশি সংস্থা দেশি কোম্পানি অধিগ্রহণ করতে না পারে, সে জন্য সম্প্রতি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতি (FDI) পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে চিনের সমালোচনার জবাব দিল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাফ বলা হয়েছে, এর ফলে কোনও নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি।

[আরও পড়ুন: করোনার প্রভাব! ফরসা থেকে কালো হলেন আক্রান্ত দুই চিকিৎসক]

অনেকেই মনে করছেন, আসলে চিনকে আটকাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এবং তাঁরা যে সঠিক ছিলেন, তার প্রমাণ মিলেছে হাতেগরমে। ভারতের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বেজিং বলেছিল, এর ফলে অবাধ বাণিজ্যের শর্ত লঙ্ঘন হয়েছে। এটা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউ টি ও) নীতির পরিপন্থী, বৈষম্যমূলক। এমনকী, জি ২০ গোষ্ঠীর নীতির বিরোধী। কিন্তু মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ভারতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক পড়শি দেশ ও সে দেশের সংস্থাকে সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হবে, এর মধ্যে কোনও বৈষম্য নেই।

Advertisement

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত রয়েছে এমন দেশগুলোর জন্য দু’ধরনের এফডিআই নীতি ছিল। পাকিস্তান ও বাংলাদেশি সংস্থা বা ব্যক্তি সরকারের অনুমোদন ছাড়া বিনিয়োগ করতে পারত না। অন্যদিকে, চিন, নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের জন্য আগাম অনুমতি লাগত না। কিন্তু নয়া নীতিতে দ্বিতীয় ক্ষেত্রের দেশগুলোর জন্যও আগাম সরকারি অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর তাতেই চটেছে বেজিং।

Advertisement

বিতর্কের সূত্রপাত এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ার কেনা নিয়ে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ ওই ব্যাঙ্কের ১ কোটি ৭৫ লক্ষ বা ১.০১% শেয়ার কিনে নেয় চিনের শীর্ষ ব্যাঙ্ক পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়না। সেই সময় শেয়ার মার্কেটে পতনের জেরে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ারের দর অনেক কম ছিল। করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে ডিসেম্বরের শেষে। তা যত গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, ততই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। বিভিন্ন দেশের বহু সংস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই সুযোগ চিন গ্রহণ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ দেশের বহু সংস্থাতেই চিনা লগ্নি রয়েছে। দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সেখানে চিন আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করতে পারে। তাই ‘সুবিধাবাদী দখল/অধিগ্রহণের ছলে দখল’ রুখতে তড়িঘড়ি এফডিআই নীতি বদলে ফেলে নরেন্দ্র মোদি সরকার। রাস্তায় কাঁটা পড়তেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বেজিং। চিনা দূতাবাসের তরফে বলা হয়, ‘এই নীতি বৈষম্যমূলক। এতে বিনিয়োগে ইচ্ছুক দেশের ঘাড়ে বাড়তি দায় চাপানো হয়েছে। এটা ডব্লিউ টি ও-র ঘোষিত নীতির পরিপন্থী। উদার অর্থনীতি ও অবাধ বাণিজ্যের বিরোধী। আমাদের আশা, ভারত এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা করবে। অবাধ ও মুক্ত বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করবে।’

যদিও ভারতের দাবি, শুল্ক ও বাণিজ্য সংক্রান্ত সাধারণ চুক্তি (জিএটিটি) মেনে করা নতুন নিয়ম কোনওভাবেই দ্বিপক্ষীয় লেনদেন বা আমদানি-রফতানি ও বিনিয়োগে প্রভাব ফেলে না। যে সব সংস্থা আর্থিক সংকটে ধুঁকছে, সস্তায় সেগুলোর শেয়ার কিনে লগ্নি করছে চিনের বহুজাতিক বা সরকারি সংস্থা। তাই জার্মানি, ইতালি, স্পেন, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ ইতিমধ্যে তাদের এফডিআই নীতি কঠোর করেছে চিনের আগ্রাসন রুখতে। দেশীয় সংস্থার সুরক্ষা সব দেশের কাছেই অগ্রাধিকার।

[আরও পড়ুন: ‘কোনও গবেষণাগারে করোনার সৃষ্টি হয়নি’, ফের চিনের পাশে দাঁড়াল WHO]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ