Advertisement
Advertisement
Himachal Pradesh

একসঙ্গে দু’জনের বেশি মানুষের ধর্মান্তর করা যাবে না, হিমাচলে পাশ নয়া আইন

‘গণ ধর্মান্তরে’ দশ বছর জেলের সাজা।

Now Himachal Pradesh Assembly passes the bill against forced mass conversion | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:August 14, 2022 1:44 pm
  • Updated:August 14, 2022 4:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কয়েকটি বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যের আদলে শনিবার ‘গণ ধর্মান্তর’ (Mass Conversion) রুখতে বিল পাশ করল হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) বিধানসভা। পাশাপাশি, ‘জোর’ করে বা ‘প্রলোভন’ দেখিয়ে ধর্মান্তর করলে সাজার মেয়াদ আরও কঠোর করা হয়েছে। ২০১৯-এর আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ দশ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে নয়া আইনে। চলতি বছরের শেষে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির পালে হাওয়া দিতেই বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

শনিবার ধ্বনিভোটে সর্বসম্মতিক্রমে ‘দ্য হিমাচলপ্রদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২২’ (The Himachal Pradesh Freedom of Religion (Amendment) Bill) পাশ হয়েছে। বিলে ‘গণ ধর্মান্তর’-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, একই সময়ে দুই বা তার ব্যক্তি ধর্ম বদলালেই তা গণ ধর্মান্তর বলে গণ্য করা হবে। আগে জোর করে ধর্মান্তরকরণে সাত বছর জেলের সাজা ছিল। তার মেয়াদ বাড়িয়ে দশ বছর করা হয়েছে। শুক্রবার বিলটি পেশ করে জয়রাম ঠাকুরের (Jiram Thakur) নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। ২০১৯ সালের আইনটির ২, ৪, ৭, ১৩ নম্বর ধারায় সংশোধনী আনে সরকার৷ মাত্র দেড় বছর আগে আনা আইনটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই আরও কড়া করা হল বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অটো ও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মহারাষ্ট্রে মৃত ৬]

প্রসঙ্গত, বছর শেষেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মতোই গণ ধর্মান্তর রোধে কড়া আইন আনল হিমাচল সরকার৷ উল্লেখ্য, বিজেপি ঘোষিতভাবেই ধর্মান্তরের বিরোধী৷ বস্তুত যা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির পছন্দের কৌশল। যদিও পালটা তাদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তর বা গণ ধর্মান্তর নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

ঘর ওয়াপসির নামে অন্য ধর্মের মানুষদের হিন্দু ধর্ম গ্রহণে ‘বাধ্য’ করে বিজেপি সমর্থিত নানা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি, মাঝমাঝেই এমন অভিযোগ ওঠে। এই ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একাধিকবার অশান্তি ছড়িয়েছে। তথাপি রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ধর্মকেই সামনে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির।  

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ