সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। দেশভাগের স্মৃতি উসকে দিয়ে গোটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আক্রমণ করলেন তিনি। গিরিরাজ সিংয়ের বক্তব্য, এদেশের মুসলিম নেতারা আজ হিন্দুদের গালিগালাজ করছে। দেশভাগের সময়ই যদি সব মুসলমান পাকিস্তানে চলে যেত তাহলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। দেশভাগের পর শুধু সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীদেরই এদেশে থাকা উচিত ছিল।
Only Sanatana Dharma followers should have stayed back after Partition: Union Minister Giriraj Singh
— Press Trust of India (@PTI_News) December 3, 2022
গিরিরাজ বলছেন, ভারতে থেকে হিন্দুদের গালাগালি করছেন বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal), আসাদুদ্দিন ওয়েইসিরা। দেশভাগ যখন দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে হয়েছিল, তখন সব মুসলমানের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত ছিল। তাহলে আজমল এবং ওয়েইসির (Asaduddin Owaisi) মতো লোকেরা হিন্দুদের গালাগালি করার সুযোগ পেতেন না। গিরিরাজের স্পষ্ট ইঙ্গিত করলেন, ভারত শুধু অমুসলিমদের বাসস্থান হওয়া উচিত। মুসলিমদের থাকা উচিত শুধু পাকিস্তানে।
[আরও পড়ুন: কাঁথির সভার আগে মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নামলেন অভিষেক, গ্রামে ঘুরে শুনলেন অভিযোগ]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন অসমের মুসলিম নেতা অথা AIUDF সুপ্রিমো বদরুদ্দিন আজমলের এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে। দিন দুই আগে আজমল বলেছিলেন, “বিয়ের আগে দু-তিনজন মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখে হিন্দুরা, কিন্তু তারা সন্তানের জন্ম দেয় না। তাই জনসংখ্যা বাড়ে না। জনসংখ্যা বাড়াতে চাইলে মুসলিমদের নীতিই অনুসরণ করা উচিত।” আজমলের এই মন্তব্যকে হিন্দুদের অপমান হিসাবে দেখছেন গিরিরাজ। সরাসরি তিনি বলে দিচ্ছেন, আজমল, ওয়েইসিরা সনাতন ধর্মকে অপমান করে।
[আরও পড়ুন: অবশেষে বাংলায় শীতের আমেজ, কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রির ঘরে]
বস্তুত স্বাধীনতার সময় দেশভাগ দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে হলেও ভারতীয় মুলসমানরা জিন্নার সেই তত্ত্ব মেনে নেননি। ভারতীয় মুসলিমরা বরাবর দাবি করে আসেন, ‘দ্বিজাতি তত্ব খারিজ করেছিলেন বলেই তাঁরা ভারতেই থেকে গিয়েছেন। যেমন থেকে গিয়েছেন অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষরাও। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের জন্য এখনও মুসলিমরা অবমাননার মুখে পড়েন। দেশের প্রতি ভালবাসা দেখালেও এখনও মুসলিমরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পান না। উলটে তাঁদের প্রতি এমন ব্যবহার করা হয় যেন তাঁরা যেন বহিরাগত।’ বস্তুত ভারতীয় মুসলিমরা বরাবর নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে সেই নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে বই কমবে না।