Advertisement
Advertisement

Breaking News

এমপি ল্যাড

‘অগণতান্ত্রিক’, সাংসদ তহবিল বাতিল করার সিদ্ধান্তে কেন্দ্রকে তোপ বিরোধীদের

গতকালই সাংসদ তহবিলের টাকা ২ বছরের জন্য বাতিল করেছে কেন্দ্র ।

Oppsition Calls for Review on MPLAD Suspension
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 7, 2020 10:44 am
  • Updated:April 7, 2020 10:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও শক্তিশালী করতে সাংসদ মন্ত্রীদের বেতনে কোপ বসিয়েছে কেন্দ্র। আগামী একবছরের জন্য সাংসদরা ৩০ শতাংশ কম বেতন পাবেন। সেই সঙ্গে কোপ বসানো হয়েছে সাংসদদের নিজস্ব এলাকা উন্নয়ন তহবিলেও। আগামী ২ বছর এলাকার উন্নয়ন খাতে কোনও অর্থ পাবেন না সাংসদরা। সেই টাকা যাবে সরকারের তহবিলে। করোনা মোকাবিলায় সেই টাকা নিজের মতো করেই খরচ করবে সরকার। এখানেই আপত্তি বিরোধীদের। তাঁরা বলছেন, করোনার রুখতে সাংসদদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত। প্রয়োজনে আরও কমানো যেতে পারে বেতন। কিন্তু, এমপি-ল্যাডের টাকা এলাকার মানুষের নৈতিক অধিকার। এভাবে সাধারণ মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।

Adhir Chowdhury
ফাইল চিত্র

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy) বলছেন, “আমি সাংসদ তহবিলের টাকা বাতিল করার বিরোধিতা করছি। এটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।” কংগ্রেস এবং বামেরা সরকারের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে কটাক্ষ করছে। তাঁদের দাবি, কোনও সাংসদ যদি চান, তাহলে তিনি তাঁর নিজের সাংসদ তহবিলের পুরো টাকাটাই করোনা মোকাবিলায় খরচ করতে পারেন। এভাবে সরকার তাঁদের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury) বলছেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তেই বোঝা যাচ্ছে দেশে আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে। আপনারা চাইলে আমাদের বেতন আরও কেটে নিতে পারেন, কিন্তু এমপি-ল্যাড বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। সাংসদ তহবিলের অর্থ বাতিল করা জনপ্রতিনিধি এবং জনগণ দুইয়ের সাথেই ঘোরতর অন্যায়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিলের পর বাড়তে পারে লকডাউনের সময়সীমা? কী বলছে কেন্দ্র?]

সিপিএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি অধীর চৌধুরির থেকেও তীব্র সুরে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন। তিনি বলছেন,”এই সরকার অনেকদিন ধরেই তথ্য লুকিয়ে চলেছে। করোনা সংক্রমণের আগেই অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়েছিল। সাংসদ তহবিলের টাকা স্থায়ী তহবিলে পাঠানোর সিদ্ধান্তেই বোঝা যাচ্ছে, গত ৬ বছর অর্থনীতি কীভাবে চলছে।” উল্লেখ্য, সাংসদরা নিজেদের এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর ৫ কোটি টাকা করে পেয়ে থাকেন। ২ বছরে সাংসদপিছু মোট ১০ কোটি টাকা করে যাবে সরকারি তহবিলে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের মোট ৭৯০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ