Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুলওয়ামা হামলার খবর পেয়েও ফিল্মের শুটিংয়ে মগ্ন মোদি, অভিযোগ কংগ্রেসের

'গোটা দেশ যখন শোকে কাতর সেসময় চা-শিঙাড়া উপভোগ করছিলেন প্রধানমন্ত্রী', খোঁচা রণদীপ সুরজেওয়ালার।

PM busy filming as Pulwama bleeds
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 21, 2019 4:35 pm
  • Updated:February 21, 2019 5:30 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামার ঘটনার পর প্রথম এক সপ্তাহ হামলা নিয়ে সেভাবে সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছিল না কংগ্রেস। কিন্তু, সপ্তাহ ঘুরতেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। পুলওয়ামা হামলার দিন, হামলার খবর জানার পরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে একটি ডকুমেন্টারির জন্য শুটিং করছিলেন। বিস্ফোরক অভিযোগ কংগ্রেসের। হাটে হাঁড়ি ভাঙার জন্য কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা প্রধানমন্ত্রীর শুটিং করার একটি ছবি প্রকাশ করেছেন।

[রাফালে রায় পুনর্বিবেচনার আরজি মানল সুপ্রিম কোর্ট]

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “যে সময় গোটা দেশ শোকে কাতর, সেসময় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে সন্ধে পর্যন্ত শুটিং করছিলেন। ক্যামেরাম্যানদের সঙ্গে বোটিং করছিলেন। পুলওয়ামার হামলা হয় বিকেল ৩ টের সময়। অথচ, প্রধানমন্ত্রী সন্ধে ৬ টা ৪০ পর্যন্ত প্রমোশোনাল ভিডিও শুট করছিলেন। গোটা দেশের তখন খাবার খাওয়ার ইচ্ছেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, অথচ প্রধানমন্ত্রী সন্ধেবেলায় সময় চা, সিঙাড়া খাচ্ছিলেন। পুরোপুরি লজ্জাজনক। যখন গোটা দেশ দুঃখপ্রকাশ করছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী শুটিং করছিলেন, আর কোথাও পাবেন এমন প্রধানমন্ত্রী?” এ বিষয়ে প্রমাণ হিসেবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির রিপোর্টকে তুলে ধরেন কংগ্রেস মুখপাত্র। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই দিন সন্ধে পর্যন্ত জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে ‘ডিসকভারি’ চ্যানেলের জন্য একটি ডকুমেন্টরি শুট করছিলেন। সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, “প্রধানমন্ত্রী নিজেকে কুমিরদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা করছিলেন।”

Advertisement

Advertisement

[পুলওয়ামা ট্রেলার মাত্র, গোয়েন্দা রিপোর্টে হাড়হিম করা সতর্কবার্তা  ]

কংগ্রেসের এই অভিযোগের পালটা দিয়েছে বিজেপিও। কংগ্রেসের অভিযোগ নাকচ না করলেও খোদ সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর ওইদিনের একটি কর্মসূচি নিয়ে ওরা এখন রাজনীতি করছে। যত খুশি অভিযোগ করুক, গোটা দেশ জানে প্রধানমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন, তাই ওদের এই অভিযোগে দেশের মানুষের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলছেন, কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জঘন্য অভিযোগ আনছে। গোটা দেশকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে ওরা। যে কংগ্রেস সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছে, তাদের কাছে আর কী-ই বা আশা করা যায়?

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ