Advertisement
Advertisement

Breaking News

রামমন্দির   

অযোধ্যায় ‘মহাজোট’কে আক্রমণ, মোদির ভাষণে উহ্য রামমন্দির   

ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও দলের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে। 

PM Modi skips Ram Mandir issue during Ayodhya rally
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 2, 2019 10:50 am
  • Updated:May 2, 2019 10:50 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার অযোধ্যায় এক নির্বাচনী সভায় কংগ্রেস এবং সপা-বসপা জোটকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেও অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন শুধু দূর থেকে রাম মন্দিরের উদ্দেশে প্রণাম করে দায় সারেন তিনি। মোদির এই শীতলতা নজর এড়ায়নি সভায় উপস্থিত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।

[চূড়ান্ত সাফল্য ভারতের, মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা রাষ্ট্রসংঘের]

Advertisement

এদিন অযোধ্যার আম্বেদকর নগরের মায়াবাজারে নির্বাচনী সভা করেন মোদি। ওই সভায় সপা-বসপা জোটকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, সপা, বসপা বা কংগ্রেস সব দলই এক। সপা নেত্রী বহেনজি বাবাসাহেব আম্বেদকরের নাম নিলেও তিনি তাঁর আদর্শ মেনে চলেন না। বরং আম্বেদকরের আদর্শের উলটো পথে চলেন তিনি। সপা দল উঠতে বসতে রামমনোহর লোহিয়ার নাম নিয়ে থাকে। কিন্তু তারা লোহিয়ার আদর্শ মানে না। যে জয়প্রকাশ নারায়ণ কংগ্রেসের ঘোর বিরোধী ছিলেন সেই কংগ্রেসই আজ সমাজবাদী পার্টির বড় বন্ধু। এর থেকে লজ্জার কিছু হয় না। গত পাঁচ বছরে ক্ষমতায় থাকার সময় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে নষ্ট করে দিয়েছে সপা সরকার। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে কংগ্রেস ও সপা উদাসীন।  ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে সপা, বসপা ও কংগ্রেস এই তিন দলই অতীতে সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখিয়েছে। আমাদের এক প্রতিবেশী এমন সরকারই চায়। দেশে এমন একটি সরকার চাই যে সরকার দেশবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে।

Advertisement

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিতর্ক এড়াতেই রামমন্দির নিয়ে মুখ খুললেন না মোদি। আগেও প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, অযোধ্যা মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায় মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। দেশজুড়ে চলা নির্বাচনী প্রচারে গিয়েও রামমন্দির প্রসঙ্গটি কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন মোদি। তার পরিবর্তে জাতীয়তাবাদ ও সেনাবাহিনীর সাফল্যকেই ভোট টানতে ব্যবহার করেছেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই কৌশল নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও দলের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে। ফলে এর প্রভাব নির্বাচনে পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

         [আগামিকাল ১১৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে ফণী, বাতিল শতাধিক ট্রেন]           

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ