Advertisement
Advertisement

জিনপিংকে অভিনব উপহার মোদির, অভিভূত চিনা প্রেসিডেন্ট

জিনপিংও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন তাঁর প্রতিকৃতি।

Prime Minister Narendra Modi-Chinese President exchange gifts
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 13, 2019 12:01 pm
  • Updated:October 13, 2019 1:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিনপিংকে অভিনব উপহার মোদির। পর পর বৈঠক, গুরুগম্ভীর আলোচনার ফাঁকেই ভারত এবং চিনের এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সাক্ষাৎ স্মরণীয় হয়ে রইল পরস্পরকে অভিনব এবং চিত্তাকর্ষক উপহার দেওয়ার মাধ্যমে। একদিকে যেমন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তাঁরই প্রতিকৃতি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অন্যদিকে জিনপিংও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন তাঁর প্রতিকৃতি। ফারাক রইল শুধুই মাধ্যম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। জিনপিংকে দেওয়া প্রতিকৃতিটি রেশমসুতোয় বোনা। আর মোদির প্রাপ্ত উপহারটি পোর্সেলিনের। আরও স্পষ্ট করে বললে, একটি প্লেট।

[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ছিনতাইবাজের কবলে প্রধানমন্ত্রীর ভাইঝি, খোয়া গেল মোবাইল ও টাকা]

Advertisement

চিনা প্রেসিডেন্টকে দেওয়া ‘পোট্রেট’ তৈরির নেপথ্যে রয়েছেন কোয়েম্বাটোরের শিরুমুগাইপুদুরের শিল্পীরা। হাতে বোনা সেই প্রতিকৃতির মধ্যভাগে, লাল রঙের জমিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের মুখাবয়ব। পাশে রয়েছে ফুলের নকশা। ছবি তৈরির জন্য খাঁটি মলবারি রেশমের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে সোনালি জরি। একদিনে নয়, এত সূক্ষ্ম কাজ ফুটিয়ে তুলতে পাঁচ দিন সময় লেগেছিল শিরুমুগাইপুদুরের শ্রীরামলিঙ্গ সৌদম্বিগাই হ্যান্ডলুম উইভার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটির তাঁত শিল্পীদের। শুধু তাই নয়। জানা গিয়েছে, ছবির মুখ্য আকর্ষণ অর্থাৎ জিনপিংয়ের মুখাবয়ব ফুটিয়ে তুলতে কাজে লাগানো হয়েছিল ২৪০ হুক সমৃদ্ধ একটি বৈদ্যুতিক জ্যাকার্ড যন্ত্র। সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছিল ডিজাইন পাঞ্চ কার্ড, যার সাহায্যে তাঁতিরা সুতোর গোটা কাজ ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন।

Advertisement

তবে রেশমের এই অভিনব ‘পোট্রেট’ই মোদির তরফে জিনপিংকে দেওয়া একমাত্র উপহার নয়, একইসঙ্গে থাঞ্জাভুরের শিল্পীদের তৈরি নৃত্যরত দেবী সরস্বতীর একটি ছবি এবং সোনার পাত বসানো একটি আলোকবর্তিকাও (স্থানীয় ভাষায় যার নাম নাচিয়ারকয়েল কুথুভিলাক্কু) ভারতে সফররত চিনা প্রেসিডেন্টকে উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। থাঞ্জাভুরের চিত্রশিল্পের কদর শুধু দেশ নয়, বিদেশেও রয়েছে। এ কাজে দামি পাথর থেকে শুরু করে সোনার পাতও ব্যবহার হয়। অন্যদিকে আবার নাচিয়ারকয়েল কুথুভিলাক্কু আলোকবর্তিকাটি সাধারণত পিতলের তৈরি হয় এবং এর একেবারে উপরের দিকে থাকে ‘অান্নম’ পাখির মূর্তি। হাতে তৈরি এই আলোকবর্তিকাও অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। প্রসঙ্গত, জিনপিংয়ের এই সাম্প্রতিক ভারত সফরে, তাঁর সামনে আগাগোড়াই দক্ষিণ ভারতীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকলাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা সে বেশভূষাই হোক বা উপহার চয়ন। শুক্রবারও জিনপিংয়ের সামনে দক্ষিণ ভারতীয় ‘মুন্ড’ পরে চমক দিয়েছিলেন মোদি।

[আরও পড়ুন: কোথায় মন্দা, সিনেমাগুলি তো কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে! আজব মন্তব্য রবিশংকরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ