Advertisement
Advertisement
Mumbai

দিওয়ালির আগে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের হুমকি, শহরজুড়ে তল্লাশি পুলিশের

পুলিশকে হুমকি ফোন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির।

Security Stepped Up In Mumbai After Police Receives a Bomb Threat Call | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:October 20, 2022 9:13 am
  • Updated:October 20, 2022 9:21 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিস্ফোরণ হবে মুম্বই (Mumbai) শহরের একাধিক জায়গায়, ২৬/১১-এর আগে হুমকি ফোন পেল মুম্বই পুলিশ। তড়িঘড়ি নিরাপত্তা বাড়ানো হল বাণিজ্য নগরীতে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি পুলিশের জরুরি পরিষেবা নম্বরে ফোন করে জানায়, শহরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়াগায় বোমা বিস্ফোরণ হবে। এরপরেই সে ফোন কেটে দেয়। ওই জায়গাগুলিতে বোমা উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। যদিও এখনও অবধি বিপজ্জনক কিছু পাওয়া যায়নি।

পুলিশের ১১২ ‘হেল্পলাইন নম্বরে’ ফোন করে শহরে একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হবে বলে জানায় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি জানায়, তিনটি জায়গা যথাক্রমে অন্ধেরির ইনফিনিটি মল, জুহুর পিভিআর মল এবং সহারা হোটেলে বোমা রাখা হয়েছে। এর পরেই ফোন কেটে যায়। তড়িঘড়ি অন্ধেরি ও জুহুর নির্দিষ্ট এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এলাকায় বোমা উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হয়েছে। যদিও এখনও অবধি অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুলিৎজার নিতে আমেরিকায় যেতে বাধা, ক্ষোভ উগরে দিলেন কাশ্মীরি চিত্র সাংবাদিক]

গত কয়েক দশকে একাধিক জঙ্গি হামলা ও বোমা বিস্ফোরণ সয্য করেছে মুম্বই শহর। যাতে নিহত ও আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাক সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় কেঁপে উঠেছিল মুম্বই। ১০ লস্কর জঙ্গি করাচি থেকে সমুদ্রপথে মুম্বইয়ে ঢোকে। জঙ্গিরা তাজ হোটেল, হাসপাতাল, রেঁস্তরা, রেল স্টেশনে হামলা চালায়। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয় অধিকাংশ জঙ্গির। আজমল কাসব নামের এক জঙ্গিকে জীবিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েক বছর পরে দোষী সাব্যস্ত কাসবকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: একসঙ্গে কাজ করব, কংগ্রেস সভাপতি হয়ে বললেন খাড়গে, গান্ধীদের উপর আস্থা থারুরেরও]

১৯৯৩-এর ধারাবাহিক বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয়েছিল বাণিজ্যনগরী। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ২৫৭ জন নিরীহ মানুষ, আহত হন ৭১৩ জন। জানা যায়, ওই নৃশংস হামলার পিছনে হাত ছিল দাউদ ওরফে ‘ডি কোম্পানি’র। হামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় কুখ্যাত গ্যাংস্টার আবু সালেম, ফিরোজ খান, করিমুল্লা খান, তাহের মার্চেন্ট, মুস্তাফা দোসা, রিয়াজ সিদ্দিকি। অন্যতম অভিযুক্ত মাস্টার মাইন্ড টাইগার মেমন ঘটনার পর থেকে পলাতক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ