Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুরীর মন্দির

জগন্নাথের কাছে হার ফণীর, প্রবল দাপটেও অক্ষত পুরীর মন্দির

ঝড়ে ধ্বজা উড়ে যাওয়া ‘অশুভ’, তত্ত্ব খারিজ মন্দির কর্তৃপক্ষের৷

Severe cyclomic strom Fani could not damaged Puri Temple

ফাইল ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 4, 2019 1:53 pm
  • Updated:May 4, 2019 1:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  পুরী-সহ গোটা ওড়িশাজুড়েই দাপট দেখিয়েছে ফণী৷ উপড়ে গিয়েছে গাছ৷ ভেঙে গিয়েছে কাঁচাবাড়ি৷ সতর্কতা সত্ত্বেও রোখা যায়নি প্রাণহানি৷ এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ জনের৷ তবে জগন্নাথদেবের কাছে হার মেনেছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়৷ পুরীর মন্দিরকে স্পর্শ করতে পারেনি ফণী৷ চূড়ার ধ্বজা উড়ে যাওয়ার তত্ত্বও খারিজ করে এমনই দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষের৷

[ আরও পড়ুন: উড়ল পুরীর মন্দিরের পতাকা, ফণীতে অশুভ লক্ষ্মণ দেখছেন পুরোহিতরা]

বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার অবনতি হতে শুরু করে পুরীর৷ শুরু হয় বৃষ্টি৷ বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া৷ তারই মাঝে ওইদিন সকালে জগন্নাথ মন্দিরের ধ্বজা উড়ে যায়৷ আর এই ঘটনাকেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আগে অশনি সংকেত হিসেবে দেখতে শুরু করেন স্থানীয়৷ কারণ যুগ এগোলেও, পুরীর মন্দিরে আজও সমস্ত নিয়ম রয়ে গেছে একইরকম৷ এখনও পর্যন্ত দীর্ঘদিনের পুরনো রীতি মেনে মন্দিরের চূড়ায় পতাকা লাগানো থাকে৷ সূর্যাস্তের সময় মন্দিরের শীর্ষে লাগানো পতাকা পরিবর্তন করা হয়৷ বারো হাত লম্বা সেই পতাকা ভক্তদের কাছে অত্যন্ত শুভ বলেই পরিচিত৷ বিরাট আকারের সেই পতাকাই মন্দিরের চূড়ায় পতপত করে ওড়ে। কিন্তু ফণীর পূর্বাভাস পাওয়া মাত্রই প্রশাসনের নির্দেশে সেই পতাকার মাপ ১২ থেকে কমিয়ে ৫ হাত অর্থাৎ ১২ ফুট করা হয়।  

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই জন্ম, মেয়ের নাম ফণী রাখলেন দম্পতি]

ধ্বজা উড়ে যাওয়ার ঘটনায় মনের ভিতর কু ডাকতে শুরু করে পুরীর মন্দিরের পুরোহিত এবং ভক্তদের৷ এই ঘটনা বড়সড় বিপদের অশনি সংকেত বলেই আশঙ্কা করেন প্রত্যেকে৷ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা৷ ইতিমধ্যেই শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ নাগাদ আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ ওড়িশার ১১টি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে৷ তবে বিপদ ছুঁতে পারেনি শ্রীক্ষেত্রকে৷ ধ্বজা উড়ে যাওয়ার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ৷ তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রবল ঝড়ের ঘোষণা হওয়া মাত্রই মন্দির থেকে ধ্বজা খুলে ফেলা হয়েছিল৷ জগন্নাথ দেবের অবস্থান আশীর্বাদেই নাকি পুরীর মন্দিরকে ছুঁতে পারে না কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়৷ ঠিক যেমন উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টির সময় এক্কেবারে অক্ষত ছিল কেদারনাথ মন্দির৷ সেভাবেই ফণীর ছোবলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে জগন্নাথের মন্দির৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ