সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় প্রতিদিনই একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতি, বাগযুদ্ধ। অবশেষে বিচ্ছেদ। ২৯ বছরের জোট ভেঙে গেল বিজেপি ও শিব সেনার। মঙ্গলবার একতরফাভাবে শিব সেনা জানিয়ে দিল ২০১৯ সালে তারা একাই লড়বে।
[ভারতীয় প্রেমিকের সঙ্গে পাক কন্যার বিয়ে দিয়ে মন জিতলেন সুষমা]
ভারতীয় রাজনীতিতে দুটি দলকে মজা করে শাশুড়ি-ননদ বলা হয়। সারাক্ষণ চুলোচুলি। একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ। জোট শরিক নাকি বিরোধী পক্ষ তা মাঝেমধ্যে বোঝা মুশকিল হয়ে যায় দুই দলের আচরণে। শেষ পর্যন্ত দলের কর্মসমিতির বৈঠকে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলল শিব সেনা। জানিয়ে দিল অনেক হয়েছে। আর তারা বিজেপির সঙ্গে নেই। আগামী লোকসভা ভোটে আলাদা লড়বে। এর আগে বহুবার শিব সেনা এবং বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। তবে জোট ভাঙেনি। এমন যে হতে চলেছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল গত কয়েক দিন ধরে। দলের মুখপত্র সামনায় নিয়মিতভাবে বিজেপির মুণ্ডপাত করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। এমনকী দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা সঞ্জয় রাউত নানারকম মন্তব্য করে বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন। নোট বাতিল থেকে জিএসটি বা মোদির মূল্যায়ন। সবেতেই বিরোধীদের সুরে কথা বলেছে মহারাষ্ট্রের এই দল। গত সোমবার আরও একবার দলের শীর্ষ পদে নির্বাচিত হন উদ্ধব। তার পরের দিন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিল সেনা।
[জন্মদিনে দেশের বীর সন্তানকে স্মরণ মোদি-কোবিন্দ-মমতার]
শিব সেনা পদ্ম ছাড়ার অর্থ বিজেপি সবথেকে পুরনো জোটসঙ্গীকে হারাল। ১৯৮৯ সাল থেকে দুই দল একসঙ্গে লড়ছে। মূলত বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের উদ্যোগে বাল ঠাকরের দলের সঙ্গে জোট গড়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু ধীরে ধীরে শিব সেনাকে পিছনে ফেলে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের শক্তিবৃদ্ধি হলেও ক্রমশ প্রান্তিক শক্তিতে পরিনত হচ্ছিল শিব সেনা। বিজেপির এই বাড়বাড়ন্তের জন্য তাদের সঙ্গ ছাড়ার কথা উঠছিল উদ্ধব ঠাকরের দলের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ২৩ জানুয়ারি আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে মহারাষ্ট্রের এই দল। তবে বিজেপির সঙ্গ ছাড়লেও কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা একবারও বলেনি শিব সেনা। প্রশ্ন উঠছে এভাবে কী গেরুয়া শিবিরের উপর চাপ বাড়াচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের দল? কারণ এর আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে পিছিয়ে এসেছিল তারা মহারাষ্ট্রের আর এক গুরুত্বপূর্ণ দল এনসিপি বলছে দ্বিচারিতা করছে শিবসেনা।
[জন্মদিনে দেশের বীর সন্তানকে স্মরণ মোদি-কোবিন্দ-মমতার]
ঘটনাচক্রে এমন একটা সময়ে শিব সেনা এই সিদ্ধান্ত নিল তখন বিদেশে নরেন্দ্র মোদি। এনডিএ-র ঘরে ভাঙন শুরু হওয়ায় তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। এনিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিব সেনার এই সিদ্ধান্ত বুঝিয়ে দিল বিজপিতে শরিকরা এখন কী অবস্থায় আছেন।