সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের মতো অসমেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভয়াবহ আকার ধারণ করেছ ব্রহ্মপুত্র-সহ সমস্ত নদনদীগুলি। এর ফলে ইতিমধ্যেই ২১টি জেলার ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে।
অসম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বন্যার কারণে বরপেটাতে তিন জন আর ধুবরি, নওগাঁও ও নলবাড়ি জেলায় একজন করে মোট তিন জন প্রাণ হারিয়েছে। পাশাপাশি ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে গৃহহারা হয়ে ১০৯টি সরকারি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১৩ জন পেলেন মন্ত্রিত্ব! ফের মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে ‘মহারাজ’]
বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (ASDMA)-এর তরফে একটি বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র বিভিন্ন জায়গায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর ফলে ৫৯টি রাজস্ব বিভাগের অন্তর্গত ২ হাজার ১৯৭টি গ্রামের ১৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩২১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর মাঝেই বৃষ্টি কম হওয়ায় গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের জল কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার যেখানে ৫০.০৬ মিটার উচ্চতায় জল বইছিল বুধবার তা কমে ৪৯.৮৭ মিটার হয়। অন্য কিছু নদীতেও জলের পরিমাণ কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (CWC)। তাদের তরফে আশাপ্রকাশ করে জানানো হয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়ায় অসমের সমস্ত জেলায় ব্রহ্মপুত্রর জলস্তর কমেছে। আগামী চার-পাঁচদিনে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমে গেলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।