Advertisement
Advertisement
জামাত

কোয়ারেন্টাইন লক্ষ্য করে মূত্র ভরতি বোতল ছোঁড়ার অভিযোগ! এফআইআর দায়ের পুলিশের

করোনা সংক্রমণ ছড়াতেই এই কাজ অভিযোগ চিকিৎসকের।

Tablighi jamat members herl urine filled bottel at quarentine center
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 8, 2020 1:59 pm
  • Updated:April 8, 2020 6:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির গাজিয়াবাদে তবলিঘি জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছিল অনেক আগেই। এবার তার প্রমাণ মিলল দিল্লির দ্বারকায়। দ্বারকার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি লক্ষ্য করে মূত্র ভরতি বোতল ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এক চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয় দ্বারকা উত্তর থানায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধেবেলা দ্বারকার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের পাশের কয়েকটি বাড়ি থেকে মূত্র ভরতি বোতল ছোঁড়া হয়। কোয়ারেন্টাইনের চিকিৎসকের অভিযোগ,”করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতেই এই ধরণের আচরণ করছেন জামাতের সদস্যরা।” দ্বারকা এলাকার একটি বহুতলের দু’টি ফ্লোরকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র করেছে দিল্লি সরকার। সেখানেই রয়েছেন করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েকজন জামাত সদস্য। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে গাজিয়াবাদে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডের মধ্যে জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে পোশাক খুলে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এমনকি নার্সদের থেকে বিড়ি-সিগারেট চাইছে বলে জানা যায়। উত্তর রেলের কোয়ার্টারের কোয়ারেন্টাইনে থাকা জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে চিকিৎসক নার্সদের গায়ে থুথু ছেটানোরও অভিযোগ উঠেছিল। ফলে সেই অভিযুক্ত জামাত সদস্যের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন (NSA) লাগু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। জানা যায় নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পর দেশে প্রায় চোদ্দশো জামাত সদস্যদের দেহে করোনার নমুনা পাওয়া গেছে।

[আরও পড়ুন:‘লুকিয়ে থাকা তবলিঘি জামাতিদের গুলি করা ভুল নয়’, মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের]

বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার পেরিয়েছে যার মধ্যে প্রায় দেড় হাজার নিজামুদ্দিন ফেরত জামাত সদস্য। সংক্রমণে নিজামুদ্দিনের জমায়েত কতটা ভূমিকা নিয়েছে দু’দিন আগেই সেই তথ্য দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে মোট আক্রান্তের ৩০ শতাংশের নিজামুদ্দিন যোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এখন ভারতে ৪.১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। নিজামুদ্দিনের ঘটনা না ঘটলে তা হত ৭.৪ দিনে। অর্থাৎ অর্ধেক দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে সংক্রামিতের সংখ্যা।”

[আরও পড়ুন:লকডাউনে গর্ভবতী ও সদ্যোজাতদের জন্য বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করলেন সাংসদ মিমি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ