সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১ ফেব্রুয়ারি নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের চার দোষীর ফাঁসি দিতে হলে মুকেশ সিংয়ের আরজিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিচার করা উচিত। সোমবার এমনই মত প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। আর তাই মুকেশের আইনজীবীকে আদালতের রেজিস্ট্রারের দ্বারস্থ হতেও পরামর্শ দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ‘কেন প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করা হল?’ তা জানতে চেয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুকেশ সিংয়ের আইনজীবী। এদিকে চার দোষীর নামেই মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ছটায় তাদের ফাঁসি হওয়ার কথা। সেই পরোয়ানা কার্যকর করতে হলে মুকেশের আরজি দ্রুত বিবেচনার পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বহুবিবাহ ও নিকাহ হালালা বন্ধের দাবিতে মামলা, বিরোধিতা মুসলিম ল বোর্ডের]
শনিবার তিন দফা দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মুকেশের আইনজীবী। রাষ্ট্রপতি কেন মুকেশের প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করা হল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারির মৃত্যু পরোয়ানাও বাতিল করারও দাবি জানানো হয়েছে। এমনকী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যেভাবে মুকেশ সিংয়ের আরজি খারিজ করেছে, তা চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে চলেছে কেন্দ্র ]
প্রসঙ্গত, শনিবারই দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা ও অক্ষয় কুমার সিংয়ের আরজি খারিজ হয়ে যায়। তাঁরা তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কেস ডায়েরি-সহ অন্যান্য নথিপত্র চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। সেই নথি দেওয়া হচ্ছিল না, আর তাই তাঁরা আদালতে কিউরেটিভ আরজি জানাতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ করেছিল। এনিয়ে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে দ্বারস্থও হয়েছিল তারা। কিন্তু তাদের সেই আরজি খারিজ করে দেয় আদালত। ইতিপূর্বে নির্ভয়ার ধর্ষক পবন গুপ্তার স্পেশাল লিভ পিটিশন বা SLP খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। পবনের আরজি ছিল, অপরাধের সময় সে না কি নাবালক ছিল। কিন্ত তা আদালতে প্রমাণ করতে পারেনি দোষী। তাই তার আরজি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে দিল্লি হাই কোর্টও তার এই আবেদন খারিজ করেছিল।