সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনভদ্রে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল। কিন্তু, বারাণসী বিমানবন্দরে নামতেই আটক করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে। এই দলে রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, বর্ধমান-পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন সাংসদ উমা সোরেন। আটক হওয়ার পরেই বারাণসী বিমানবন্দরে ধরনায় বসে পড়েন তাঁরা।
[আরও পড়ুন- হাতির মাংসে মহা উল্লাসে চলল ভুরিভোজ, নীরব দর্শক বনদপ্তর]
পরে এবিষয়ে ডেরেক টুইট করেন, “বারাণসী বিমানবন্দরে আটক করার পর এডিএম-কে কারণ জিজ্ঞাসা করি। আমাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে তা জানতে চাই। কিন্তু, উপরতলা থেকে নির্দেশ আছে বলা ছাড়া প্রশাসন থেকে কিছু জানানো হয়নি। আমরা জানাই সোনভদ্র গিয়ে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাব। হাসপাতালে গিয়ে জখমদের সঙ্গে দেখা করব। এর জন্য প্রশাসনের সঙ্গে যা সহযোগিতা করার করব।কিন্তু, তারপরও আমাদের যেতে দেওয়া হয়নি।”
অন্যদিকে শুক্রবার দুপুর থেকে মির্জাপুরে আটক রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার সোনভদ্র যাওয়ার পথে মির্জাপুরে আটক করা হয় তাঁকে। তারপর থেকে মির্জাপুর গেস্ট হাউসে রয়েছেন তিনি। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করে কোনওভাবেই ফিরবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান বারাণসী পুলিশের এডিজি ব্রজ ভূষণ। কিন্তু, নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন প্রিয়াঙ্কা। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি তিনি বলেন, “ওদের সঙ্গে দেখা না করে আমি ফিরব না। দরকার পড়লে জেলে যাব।” এরপরই নড়েচড়ে বসে যোগী প্রশাসন। প্রিয়াঙ্কার অনড় মনোভাবের কাছে মাথা ঝুঁকিয়ে নিহতের আত্মীয়দের মির্জাপুর গেস্ট হাউসে নিয়ে আসে।তারপর মাত্র দু’জনকে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে দেয়। বাকিদের গেস্ট হাউসের গেটে আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে বলে দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা।
[আরও পড়ুন- বানভাসি বিহার ও অসমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৯]
শুক্রবার সোনভদ্র যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে নিজেদের হেফাজতে নেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উত্তপ্ত সোনভদ্রে তিনি যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, কোনও আইনে তাঁকে আটকানো হয়েছে, তা জানতে চান প্রিয়াঙ্কা। যদিও তা জানাতে পারেনি যোগী প্রশাসন। পাশাপাশি শুক্রবার রাতে ইচ্ছে করে মির্জাপুর গেস্ট হাউসে লোডশেডিং করিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ কংগ্রেস নেতৃত্বের।
গত বুধবার উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র এলাকার একটি গ্রামে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। খুন করা হয় ১০ জন আদিবাসীকে। ওই গ্রামের প্রধান বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে জমি দখলের চেষ্টা করে। আর এর জেরেই প্রাণ হারান ১০ জন আদিবাসী।
Video message from Trinamool delegation who have been detained/arrested (they still haven’t been told why!) at Varanasi airport tarmac. They were on their way to meet the injured in hospital and meet & give confidence to the grieving families in #Sonbhadra
Watch>> pic.twitter.com/1cSjPfZ7cT— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 20, 2019