সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর দেয়নি যুবক যুবতীর পরিবার। তাই উদ্যোগ নিয়ে চারহাত এক করে দিল পুলিশই। এমনিতে প্রেমিক প্রেমিকা বাড়ির অমতে পালিয়ে গেলে পুলিশ তাঁদের ধরে এনে গারদে পুরে দেয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে যুবতী ছাড়া পেলেও যুবক কিন্তু গারদেই থেকে যায়। উপরি পাওনা হিসেবে কপালে জোটে ফুসলিয়ে অপহরণের অভিযোগ। যদিও এবার সে সবের কিছুই ঘটেনি। রীতিমতো এলাহি আয়োজন করে যুবক যুবতীর বিয়ে দিল পুলিশ। থানা চত্বরেই বাঁধা হল ম্যারাপ। ফুলের ডেকরেশনের সঙ্গে রীতিমতো অগ্নিকে সাক্ষী করে ধুমধাম করে সম্পন্ন হল বিয়ে। অভিনব ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকির মহম্মদপুর খালা থানায়।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বিনয় কুমার ও নেহা ভার্মার মধ্যে। একটা সময় দু’জনেই তাঁদের পরিবারের কাছে প্রেমের বিষয়টি জানান। সাধারণত বিয়ে করতে চেয়েই বাবা মার কাছে আরজি রাখা হয়। কিন্তু দুই পরিবারের তরফেই ছেলে মেয়েদের প্রেমকে সানন্দে মেনে নেওয়া হয়নি। বিনয়ের বাবা মা নেহাকে যেমন বউমা হিসেবে মানতে রাজি নন। তেমনই জামাই হিসেবে বিনয়কে দেখতে রাজি নন নেহার বাবা মা। অনেকভাবে বুঝিয়েও পরিবারের সিদ্ধান্তকে টলাতে পারেননি বিনয় ও নেহা। কিন্তু তাই বলে কি প্রেম ভাঙতে পারে ? তা তো নয়। তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে যুগলে। প্রায় দুদিন যাবৎ দুই পরিবার তাদের ছেলে মেয়েদের কোনওরকম খোঁজ পায়নি। শেষ পর্যন্ত খালা থানায় এসে দুই পরিবারের তরফেই ছেলে ও মেয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। জানতে পারে উধাও হওয়ার পিছনের প্রকৃত সত্য।
নাঃ! এক্ষেত্রে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় খালা থানার পুলিশ। নেহা ও বিনয়কে প্রথমে খুঁজে বের করে। তারপর দুই পরিবারের সম্মতি নিয়ে দু’জনের গাঁটছড়া বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নিয়ম মেনে ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে যায় তাঁদের। বিয়ের আসর বসেছিল খালা থানা চত্বরেই। নিজেদের চিরাচরিত পোশাকে সেই বিয়েতে বরকর্তা থেকে কনেকর্তা সব দায়িত্ব পালন করেন পুলিশকর্মীরাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.