সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে ভিন রাজ্যে আটকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা (Migrant Labours)। তবে তাঁদের সমস্যা মেটাতে নয়া পন্থা নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার কথা জানতে যোগী সরকার একটি ওয়েব পোর্টাল (web portal) ও একটি টোল ফ্রি নাম্বার তাঁদের জন্য বরাদ্দ করেছে।
নকডাউনে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা পরিযায়ী শ্রমিকদের। সেখানে তাদের ইন্টারনেটের সাহায্য়ে সরকারকে নিজেদের সমস্যা জানাতে পরামর্শ দিচ্ছেন যোগী সরকার। জানা যায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবে উত্তরপ্রদেশকে কয়েকটি ভৌগলিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। সেখানে কয়েকজন স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়। তারাই পরিয়ায়ী শ্রমিকদের সমস্যা কথা জানাবে নির্দিষ্ট এলাকার বিধায়কদের। বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অনুপমা জইসওয়াল জানান, “বাহারাইচ থেকে প্রায় একশ জন মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা ভিন রাজ্য থেকে এসে এখানে আটকে পড়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ফোন, ইমেল ও হোয়াটস অ্যাপের সাহায্যেও যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। জানান হয়, যে চিন্তা করার কিছু নেই এই সরকার তাঁদের সঙ্গে রয়েছে।” প্রাক্তন মন্ত্রী অনুপমা জইসওয়াল বলেন, এই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করতে তিনি একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করেছেন। সেখানেই তাঁরা পরিযায়ী শ্রমিকদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করবেন। প্রথমে বাহারাইচে আটকে থাকা শ্রমিকদের থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরে এই পদ্ধতি অন্য জেলাগুলিতেও শুরু করা হবে। এই স্থানে থাকা রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তাঁদের থেকে জেনে নেওয়া হবে কখন পরিযায়ী শ্রমিকদের কী সাহায্যের প্রয়োজন। সেই অনুযাযী তাদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:সোশ্যাল মিডিয়ায় সামাজিক দূরত্ব নিয়ে মন্তব্যের জের, মহিলা ব্যবসায়ীকে লাগাতার হুমকি]
তবে প্রশ্ন হল লকডাউনের অভাবে যাদের কাছে দিন গুজরানের টাকা নেই তারা কীভাবে মোবাইলে ইন্টানেটের ব্যবহার করবেন? কীভাবেই বা তারা ইমেলে প্রশ্নের নিজের সমস্যার কথা জানাবেন সরকারি আধিকারিকদের। লকডাউনের ২১ দিনের পর্ব মিটে যাওয়ার পরও দ্বিতীয় পর্বের ধাক্কা সামলে ওঠাটাই তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়ায়। সেখানে ওয়েব পোর্টালে সরকারি আধিকারিকদের নিজেদের সমস্যার কথা জানানো তাঁদের কাছে বিলাসিতার সমান বলে মত সামাজিক বিশেষজ্ঞদের।