Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রিয়াঙ্কা

নতিস্বীকার যোগী প্রশাসনের, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করে গেলেন নিহতদের আত্মীয়রাই

সোনভদ্রে নিহতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করবে কংগ্রেস।

Uttar Pradesh: Sonbhadra victims' families meet Priyanka Gandhi
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 20, 2019 4:10 pm
  • Updated:July 20, 2019 4:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জেদের কাছে কার্যত নতি স্বীকার করে নিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। শনিবার সকালে প্রিয়াঙ্কা মির্জাপুরে যেখানে ধরনায় বসেছিলেন সোনভদ্রে নিহতদের আত্মীয়দের সেখানে নিয়ে আসে প্রশাসন। মির্জাপুরে এদিন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। শোকার্তদের নিয়ে রাস্তায় বসে তাঁদের কথা মন দিয়ে শোনেন প্রিয়াঙ্কা। দোষীদের কড়া শাস্তির জন্য সওয়ালও করেন। তিনি বলেন, “ভয়ানক অবিচার হয়েছে। একটা নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছে কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এঁদের সঙ্গে যখন এমন ঘটনা ঘটে তখন প্রশাসনের উচিত ছিল পাশে দাঁড়ানো। প্রশাসনের মানসিকতা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।”

[আরও পড়ুন: সোনভদ্র যাওয়ার পথে বারাণসী বিমানবন্দরে আটক তৃণমূলের প্রতিনিধিরা]

শুক্রবার প্রিয়াঙ্কাকে সোনভদ্রে যেতে বাধা দেওয়ার পর তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সোনভদ্রে জমি বিবাদ নিয়ে গ্রাম প্রধানের সঙ্গে আদিবাসী কৃষকদের গন্ডগোলের জেরে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় প্রিয়াঙ্কা গেলে অশান্তি আরও বাড়বে এই দাবিতে তাঁকে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। রাতে তাঁকে চুনার দুর্গের অতিথিশালায় আটকে রাখা হয়। জানা গিয়েছে, রাতে বেশিরভাগ সময়ই ওই অতিথিশালায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। শনিবার সকালে ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটকের জের, দেশব্যাপী বিক্ষোভে কংগ্রেস]

এদিন সকালে ওই অতিথিশালার কাছেই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়ার দাবিতে ধরনায় বসেন প্রিয়াঙ্কা। টুইটারে লেখেন, “কেউ ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেননি। কে ওঁদের চোখের জল মুছবেন?” সংবাদমাধ্যমকে প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, “২৪ ঘণ্টা হয়ে গেল ধরনায় বসেছি। সোনভদ্রে গুলিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করে আমি কিছুতেই এই জায়গা ছেড়ে চলে যাব না। তার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার আমাকে জেলে পুরতে চাইলে আমি সেখানে যেতেও প্রস্তুত।” প্রিয়াঙ্কার এই কড়া বার্তার পরই তাঁর সঙ্গে দু’জন আত্মীয়কে দেখা করতে দেয় পুলিশ। যদিও প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, ১৫ জন আত্মীয়র মধ্যে মাত্র দু’জনকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে, তাদের প্রত্যেককে কংগ্রেসের তরফে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাসও দেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ