সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১৫ জুন রাতের সংঘর্ষের পর ভারতের হাতেও বহু চিনা সেনা আটক হয়েছিল। পরে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান তথা মোদি মন্ত্রিসভার সড়ক ও পরিবহণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী মেজর জেনারেল ভি কে সিং (V.K. Singh)। তাঁর আরও দাবি, সেদিনের সংঘর্ষে ভারতের যে পরিমাণ সেনাকর্মীরা হতাহত হয়েছেন, অন্তত তার দ্বিগুণ ক্ষতি হয়েছে চিনের।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) সোমবার রাতের সংঘর্ষে ঠিক কতজন চিনা সেনার (PLA) মৃত্যু হয়েছে? এই সংখ্যাটা নিয়ে এখনও বেজিংয়ের তরফে এখনও কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। এদিকে সেদিনের সংঘর্ষে যে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, তা সরকারিভাবেই স্বীকার করে নিয়েছে নয়াদিল্লি। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ২০ জন শহিদ হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু সেনা নিখোঁজ ছিলেন। যাদের চিনারা আটকে রেখেছিল। এরপর চিন দাবি করে, তাঁদের হাতে বহু ভারতীয় সৈন্য আটক ছিল। তার মানে এটা স্পষ্ট যে, ভারতীয়রাই জোর করে চিন সীমান্তে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছে।
[আরও পড়ুন: ‘দেশের সংহতির স্বার্থে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠুন’, ভিডিও টুইট করে রাহুলকে তোপ অমিতের]
চিনাদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিং বললেন, “কিছু সংবাদমাধ্যমে দেখছি চিনারা আমাদের সেনাদের আটকে রেখেছিল এবং পরে ছেড়ে দিয়েছে। একইভাবে আমরাও কিন্তু অনেক চিনা সেনাকে আটক করেছিলাম। আমাদের এদিকে যদি ২০ জন সেনা জওয়ানের প্রাণ গিয়ে থাকে, আমি নিশ্চিত সীমান্তের ওপারে তার দ্বিগুণ প্রাণহানি হয়েছে।” মেজর জেনারেল ভি কে সিং এদিন স্পষ্ট করে দেন, “লাদাখে আসল ঝামেলাটা হচ্ছে পেট্রল পয়েন্ট ১৪ নিয়ে। যেটা এখনও ভারতের দখলে আছে। আসলে গালওয়ান উপত্যকার কিছুটা অংশ ভারতের দখলে আছে। কিছুটা আছে চিনের দখলে। ওইদিকটাই চিন সেই ৬২-র পর থেকেই বসে আছে। কিন্তু আজও আমরা মাথা নোয়াইনি।” ১৫ জুনের ঘটনা সম্পর্কে জেনারেল ভি কে সিংয়ের বক্তব্য, সেদিন কিছু চিনা সেনা আমাদের সীমান্তে ঢুকে এসেছিল। আমাদের কিছু সেনা ওদের সীমানা টপকে গিয়েছে। এর থেকে বেশি তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। সবাইকে সবটা জানতে হবে তার কোনও মানে নেই।