Advertisement
Advertisement

Breaking News

Corona Positive

তিন-তিনবার COVID-19 আক্রান্ত এই মহিলা চিকিৎসক, দু’বার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর

নিজের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে করোনা নিয়ে সতর্ক করলেন চিকিৎসক।

Woman Doctor of Mumbai Tests Corona Positive Thrice | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 28, 2021 10:33 am
  • Updated:July 28, 2021 1:52 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একবার করোনায় কাবু হলেই আতঙ্কে রাতের ঘুম ছুটছে অনেকের। সেখানে মুম্বইয়ের এক চিকিৎসক তিন-তিনাবর কোভিড পজিটিভ (COVID Positive) হলেন। তাও আবার দু’বার ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ নেওয়ার পর।

কোন ভ্যাকসিন (Corona vaccine) করোনার বিরুদ্ধে কতখানি শক্তিশালী, এ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন, করোনা টিকা নিলেই যে আর কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, এমনটা নয়। বরং টিকা এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি জোগায়। বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও দু’বার কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বিরল। ২৬ বছরের মহিলা ডাক্তার শ্রুস্তি হলরিকে ১৩ মাসের মধ্যে তিনবার পড়তে হল করোনার কবলে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে একলাফে ৪৭% বাড়ল Corona সংক্রমণ, ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও]

মুম্বইয়ের (Mumbai) মুলুন্দ এলাকার একটি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। কোভিড পজিটিভদের সংস্পর্শে থাকায় গত বছর জুনে প্রথমবার মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। সেবার তেমন উপসর্গ ছিল না শরীরে। এরপর চলতি বছর মার্চে কোভিশিল্ডের (Covishield) প্রথম ডোজ নেন তিনি। দ্বিতীয় ডোজ পান ২৯ এপ্রিল। কিন্তু ঠিক একমাস পর ২৯ মে ফের করোনায় কাবু হন শ্রুস্তি। বাড়িতে থেকেই অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন, আর হয়তো এই ভাইরাসের কবলে পড়তে হবে না। কিন্তু একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবেই গত ১১ জুলাই আবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে এবার আর শুধু তিনি নন, গোটা পরিবারই সংক্রমিত হয়।

Advertisement

কোভিড পজিটিভ হন তাঁর বাবা, মা ও ভাইও। তাঁদেরও টিকার জোড়া ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এবার করোনার হানায় হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল গোটা পরিবারকেই। মা-বাবার কো-মর্বিডিটি ছিলই। ডা. শ্রুস্তির ভাইয়ের শরীরেও সমস্যা দেখা দেয়। তাঁদের শরীরে করোনার কোন ভ্যারিয়েন্ট থাবা বসিয়েছে, তা জানতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শ্রুস্তি জানান, “তৃতীয় আমি করোনায় বেশি ভুগলাম। আমি আর পরিবারকে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল। রেমডেসিভির দিতে হয়। আমার ভাই আর মায়ের ডায়বেটিস রয়েছে আর বাবা হাইপারটেনশন ও কোলেস্টেরলের রোগী। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ভাইয়ের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। অক্সিজেনও দিতে হয়।” নিজের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেই প্রত্যেককে করোনা নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিলেন মুম্বইয়ের মহিলা চিকিৎসক।

[আরও পড়ুন: Weather Update: নিম্নচাপের বৃষ্টি থেকে কবে মিলবে রেহাই? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ