Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিশ্ব ব্যাংক

করোনার জেরে ৩ দশকে সর্বনিম্ন হতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার, আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাংকের

দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশেই আর্থিক সংকট ঘনীভূত হবে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।

World Bank says India GDP may grow at 1.5-4% for next year
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 13, 2020 11:14 am
  • Updated:April 13, 2020 5:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Covid-19) সংক্রমণের জেরে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এবার পূর্বাভাস বিশ্ব ব্যাংকের। তাদের দাবি, চলতি বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে মাত্র ১.৫ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশ হারে। যা ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের তিন দশকের মধ্যে নিম্নতম। অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে এই বছর ১.৮ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক বলছে, গত ৪০ বছরে এই বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন। আগে এই পূর্বাভাস ছিল ৬.৩ শতাংশ।

GDP

Advertisement

শুধু ভারত নয়, কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের দাপটে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশেই আর্থিক সংকট ঘনীভূত হবে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক। নিবিড় জনঘনত্বের এই দেশগুলিই করোনার পরবর্তী হটস্পট বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক বিকাশ রিপোর্টে বিশ্ব ব্যাংক (World Bank) জানিয়েছে, ‘২০১৯ সালের শেষে যে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জাগিয়েছিল অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সংকটের প্রভাবে তা তলানিতে ঠেকেছে।’ এর আগে চলতি অর্থবর্ষে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতে বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস করেছিল বিশ্ব ব্যাংক। কিন্তু সংকটের প্রভাবে তা মাত্র ১.৫ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। ভারত ছাড়া করোনার প্রকোপে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশেও অর্থনীতি বেহাল হবে বলে পূর্বাভাস করেছে বিশ্ব ব্যাংক। এ ছাড়া পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপে করোনা সংক্রমণের জেরে আর্থিক মন্দা দেখা দেবে বলে জানিয়েছে ওই আন্তর্জাতিক সংস্থা।

Advertisement

[আরও পড়ুন:  HDFC’র শেয়ার কিনল চিনের শীর্ষ ব্যাংক! উদ্বেগ প্রকাশ রাহুল গান্ধীর]

ভারতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার ফলে রুজিরোজগার হারিয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ। সেই সঙ্গে বিরাট লোকসানের মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের ব্যবসায়ীরা।কাজ হারিয়ে ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফেরা শ্রমিকরা অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। লকডাউন দীর্ঘ হলে আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর জেরে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় আর্থিক সংকোচন দেখা দেবে বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক কোটি দরিদ্রকে সাহায্য করতে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ‌্যাকাউন্টে সরাসরি নগদ জমা দিতে গিয়ে চাপ পড়েছে কেন্দ্রীয় কোষাগারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ