সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইয়েস ব্যাংক ‘ইয়েস’ থেকে ‘নো’ ব্যাংক হওয়ার পিছনে দায় কার? অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ইতিমধ্যেই দায় ঠেলে দিয়েছেন ইউপিএ জমানার উপর। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের(P Chidambaram) উপর। নির্মলার অভিযোগ, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর ভ্রান্ত নীতিই ডুবিয়ে দিল ইয়েস ব্যাংককে। শনিবার তার পালটা দিলেন চিদম্বরম। সেই সঙ্গে তুলে দিলেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। যে অভিযোগ নিয়ে রা কাটছে না মোদি সরকার।
এমনিতেই ইয়েস ব্যাংক (Yes Bank) ঘিরে বেশ কয়েকটি অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। চিদম্বরম শুধু সেগুলো মনে করিয়ে দিলেন। প্রথমত কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদি জমানার প্রথম পাঁচ বছরে অর্থাৎ, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ হারে বেড়েছে ইয়েস ব্যাংকের ঋণ। অথচ, রিজার্ভ ব্যাংক বা অর্থমন্ত্রক কেউই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। নোটবাতিলের তা আরও দ্রুতহারে বেড়েছে। ইয়েস ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট বলছে, নোট বাতিলের পরবর্তী দু’বছরে ইয়েস ব্যাংকের ঋণ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালের মার্চ মাসে যেখানে ইয়েস ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা সেখানে ২০১৯ সালের মার্চে তা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৪১হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। এত অল্প সময়ে এই রেকর্ড বৃদ্ধি কীভাবে সরকারের চোখ এড়িয়ে গেল? এ প্রশ্নের কোনও সদুত্তর অর্থ মন্ত্রকের কাছে নেই।
শনিবার চিদম্বরম প্রশ্ন তুললেন, “২০১৪ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ইয়েস ব্যাংকের ঋণ ৩৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। অর্থ মন্ত্রক বা রিজার্ভ ব্যাংকে কি একজনও ব্যালেন্স শিট পড়ে দেখেননি? ব্যাংকের সিইও বদলে দেওয়ার পরও পরিস্থিতি বদলাল না কেন? এমনকী রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নরকে ইয়েস ব্যাংকের বোর্ডে নিয়োগ করার পরও পরিস্থিতি পালটাল না, কিন্তু কেন? ২০১৯ সালের মার্চে যখন ইয়েস ব্যাংক ক্ষতি ঘোষণা করল, তখনও সরকার কেন নড়েচড়ে বসল না?” প্রশ্নের এখানেই শেষ নয়। আরও প্রশ্ন আছে, ব্যাংকটি ক্ষতির মুখে যাওয়ার পর সরকারের ভূমিকা নিয়ে। ডুবন্ত ব্যাংককে বাঁচাতে কেন এসবিআইকে আসরে নামাতে হল? সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের টাকাতেই কোপ কেন? যে ইয়েস ব্যাংকের শেয়ারের দাম দু’টাকা, তা কেন দশ টাকায় কিনতে বাধ্য করা হল?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.