Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলেজ স্কোয়্যার

ফিরল দু’বছর আগের মর্মান্তিক স্মৃতি, সাঁতার কাটতে নেমে কলেজ স্কোয়্যারে মৃত কিশোর

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ৷

A 17 year old boy dies by drowing in College Squre
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 4, 2019 10:59 am
  • Updated:August 4, 2019 3:15 pm

অর্ণব আইচ: ফিরল ২০১৭-র ভয়ংকর সেই স্মৃতি৷ উত্তর কলকাতার কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার কাটতে গিয়ে এবার মৃত্যু হল এক কিশোরের পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মহম্মদ শাহবাজ৷ রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের ডুবুরিরা৷ তাঁরাই ওই কিশোরের মৃতদেহটি জলের গভীর থেকে উদ্ধার করেন৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷

[ আরও পড়ুন: ‘বাবা ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ভরতি করেছে, আর ফেরার উপায় নেই’ সুইসাইড নোটে লিখেছেন ঋষিক ]

Advertisement

প্রাথমিক সূত্রে খবর, মৃত কিশোর মহম্মদ শাহবাজ খুব কম দিনই সেখানে সাঁতার শিখতে আসছিল৷ ফলে খুব ভাল সাঁতার জানত না সে৷ রবিবার সকালেও নিময়মতো সাঁতার শিখতে আসে সে৷ কিন্তু কম গভীর পুলটিতে না নেমে, ভুলবশত গভীর পুলটিতে নেমে পড়ে ওই কিশোর৷ এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তলিয়ে যায়৷ তাকে ভেসে উঠতে না দেখে স্থানীয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় খবর দেয় কলেজ স্কোয়্যার কর্তৃপক্ষ৷ মুহূর্তের মধ্যে সেখানে আসে পুলিশ৷ আসে কলকাতা পুলিশের ডুবুরি৷ পুলের যে জায়গায় কিশোরকে ডুবে যেতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা, সেই জায়গাতেই খোঁজ শুরু করেন ডুবুরিরা৷ এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই দেহটি উদ্ধার করেন তাঁরা৷ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ওই কিশোরের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে পুলিশ৷ শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত৷ আর শুরুতেই ঘটনার সময় ট্রেনারদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ যখন কিশোর
সাঁতার কাটতে আসে, তখন কতজন ট্রেনার উপস্থিত ছিলেন? তাঁরা কোথায় ছিলেন? ডুবতে দেখেও কেউ কেন বাঁচালেন না? এমন একাধিক প্রশ্ন তুলছেন
তদন্তকারীরা৷ সাঁতারুর মৃত্যুর জেরে ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলেজ স্কোয়্যারের সুইমিং। মৃত্যুর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুল বন্ধ থাকবে বলে জানান কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার

Advertisement

[ আরও পড়ুন: নদিয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, জেলা হাসপাতালগুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিট প্রশাসনিক কর্তাদের ]

প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগেও এমন মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল কলেজ স্কোয়্যার৷ সাঁতার কাটতে নেমে সেবার পুলে তলিয়ে গিয়েছিলেন জাতীয় স্তরের এক মহিলা সাঁতারু৷ মৃতার নাম ছিল কাজল দত্ত। বয়স ৬৭। তিনি শৈলেন্দ্র মেমোরিয়াল লাইফ সেভিং সোসাইটির সদস্য ছিলেন। বাংলা মহিলা টিমের কোচিংও করাতেন। ক্লাবের কর্মীদের সামনেই জলে নামেন তিনি৷ কিন্তু কেউ কলেজ স্কোয়ার সুইমিং পুল থেকে তাঁকে উঠতে দেখেননি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ