Advertisement
Advertisement
Coronavirus

দার্জিলিং থেকে ফিরে করোনায় আক্রান্ত বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, ভরতি বেসরকারি হাসপাতালে

তাঁর কো-মর্বিডিটি চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের।

Abdul Mannan tested COVID-19 Positive and admitted to the hospital| Sangbad Pratidin

ফাইল ফটো

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 25, 2020 4:00 pm
  • Updated:November 25, 2020 4:08 pm

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান (Abdul Mannan)। মঙ্গলবার রাতে তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। হাই সুগার-সহ একাধিক কো-মর্বিডিটি (Comorbidity) থাকায় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে ভরতি করা হয়েছে এক বেসরকারি হাসপাতালে। তবে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার।

সম্প্রতি দার্জিলিং গিয়েছিলেন আবদুল মান্নান। এই মুহূর্তে সেখানে ছুটি কাটাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর মধ্যে একদিন তিনি রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করতে যান। তাঁর সঙ্গে প্রাতরাশেও যোগ দেন। এই সপ্তাহেই পাহাড় থেকে কলকাতায় ফিরেছেন চাঁপদানির কংগ্রেস বিধায়ক। ছিলেন কলকাতার এমএলএ হস্টেলে। সেখানেই এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফুসফুসে সমস্যা দেখা দেয়। অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার সঙ্গে কোভিড (COVID-19)  টেস্টও হয় তাঁর। মঙ্গলবার রাতে পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। ৬৮ বছরের বিধায়ককে এরপরই বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: টাকা চেয়ে প্রাক্তন পরিচারিকার লাগাতার হুমকি ফোন, পুলিশের দ্বারস্থ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান]

বুধবার সকালে তাঁর সিটি স্ক্যান হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান যে ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়কের। এছাড়া তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা বরাবরই বেশি। সবমিলিয়ে এসব কো-মর্বিডিটিই চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। যদিও চিকিৎসকদের বক্তব্য, আপাতত মান্নানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বিরোধী দলনেতার এই অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন বিধান ভবন। দ্রুত সুস্থতা কামনায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সহকর্মী, অনুরাগীরা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: অনলাইনে বুক করা বাইকে উঠে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, চালকের চরম অশালীন প্রশ্নের মুখে তরুণী]

ইতিমধ্য়ে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন বেশিরভাগই। কেউ বা কোভিডযুদ্ধে হার মেনেছেন। আসলে জনসংযোগের কাজে লিপ্ত থাকায় তাঁদের গতিবিধি সর্বদী নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্ভব নয়। আর সেই ফাঁক দিয়েই তাঁদের শরীরে বেশিরভাগ হানা দিচ্ছে সংক্রামক করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ এমনটাই। তাই জনসংযোগের মাঝেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ একাধিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ