Advertisement
Advertisement

Breaking News

Calcutta High Court

১৫ বছর পর ‘যুদ্ধজয়’, ৪০০ প্রার্থীকে প্রাথমিকে নিয়োগে ছাড়পত্র কোর্টের

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ৩ মাসের মধ্যে এই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে হবে।

After 15 years, Calcutta High Court gave permission to appoint four hundred primary teachers

ফাইল ছবি।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 10, 2024 9:20 am
  • Updated:April 10, 2024 9:20 am

স্টাফ রিপোর্টার: মাঝে কেটে গিয়েছে ১৫টি বছর। আইনি জটিলতায় আটকে ছিল বাম আমলের প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগের প্রক্রিয়া। ২০০৯ সালে হাওড়া জেলার প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন ৪০০ চাকরিপ্রার্থী। যা নিয়ে দীর্ঘদিন অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য সরকারের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। এবার সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্টও।

মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ৩ মাসের মধ্যে এই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে এত বছর বাদে চাকরি পাওয়ার পর পুরনো বকেয়া-সহ অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধার দাবি করতে পারবেন না নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা। নতুন চাকরিপ্রাপকের মতো সুবিধা পাবেন। আদালত জানিয়েছে, বর্তমানে হাওড়ায় শূন্যপদ ১৫১। অবিলম্বে এঁদের নিয়োগ দিতে হবে। বাকি ২৫০ জনের চাকরির ভবিষ্যতে তৈরি হওয়া শূন্যপদ থেকে ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর বঞ্চিতদের নিয়োগ-নির্দেশে খুশি তাদের আইনজীবী রবিলাল মৈত্র, ফিরদৌস শামিমরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপি-তৃণমূলের লড়াইয়ে নেপোয় মারে দই! দলীয় কার্যালয় থেকে চেয়ার নিয়ে চম্পট চোরের]

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে তৎকালীন বাম আমলে প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তার ভিত্তিতে ২০১০ সালে পরীক্ষা হয়। পরের এক বছরের মধ্যে বেশিরভাগ জেলার নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও চারটি জেলায় নিয়োগ হয়নি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদহ ছিল তালিকায়। যা নিয়ে মামলা গড়ায় হাই কোর্টে। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে ব্যাপক অস্বচ্ছতার অভিযোগে ২০১২ সালে রাজ্য সরকার চার জেলার নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করে দেয়। তৎকালীন শিক্ষা সচিব বিক্রম সেনের নির্দেশে ওই চার জেলার ক্ষেত্রে যে সমস্ত পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদেরই পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরে যা নিয়ে ফের মামলা গড়ায় হাই কোর্টে। অবশেষে দীর্ঘ ১৫ বছর সেই মামলারই নিষ্পত্তি হল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রচারে বেরিয়ে মহিলাদের চুমু, পিঠে হাত খগেনের! বিজেপি প্রার্থীর কাণ্ডে বিতর্ক তুঙ্গে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ