Advertisement
Advertisement
সমাবর্তনে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের

‘রাজ্যের পক্ষে অন্ধকার সময়’, সমাবর্তনে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের

রাজ্যপালের মন্তব্যের পালটা সমালোচনা শিক্ষামন্ত্রীর।

Bengal Governor Jagdip Dhankhar reacted strongly on CU convocation.

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 29, 2020 5:25 pm
  • Updated:July 25, 2022 12:35 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।বিক্ষোভের জেরে সমাবর্তনে যোগ দিতে পারেননি আচার্য। বুধবার সেই ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, “কালকের ঘটনা অনভিপ্রেত। রাজ্যের পক্ষে অন্ধকার সময়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস কলঙ্কিত হয়েছে।”  এমনকী তাঁর অভিযোগ, এদিন পড়ুয়াদের সঙ্গে বহিরাগতরা মিশেছিল। তাঁরাই বিক্ষোভ দেখান।রাজ্যপালের  মন্তব্যের পালটা সমালোচনা করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, “রাজ্যপাল ছাত্র আন্দোলনকে অন্ধকার সময় বলছেন, তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত নই।” তাঁর ‘বহিরাগত’ মন্তব্যেরও তীব্র সামালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেই পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন পড়ুয়াদের একাংশ। গাড়িতে কিছুক্ষণ আটকেও থাকেন আচার্য। নজরুল মঞ্চের ভিতরেও চলে বিক্ষোভ।  শেষপর্যন্ত বিক্ষোভের মুখে পড়ে নজরুল মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন ধনকড়।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ওঁর থেকে জন্তু-জানোয়ারকে দায়িত্ব দেওয়াও ভাল’, দিলীপকে বেনজির আক্রমণ পার্থর]

এদিন রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে এমন বিক্ষোভের মধ্যেই নজরুল মঞ্চে গিয়ে পৌঁছন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাম্মানিক ডি’লিট দেওয়া হয়। কিন্তু পড়ুয়াদের এমন বিক্ষোভ দেখে হতবাক হয়ে যান তিনিও। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাম্মানিক ডি’লিট প্রসঙ্গে রাজ্যপাল ধনকড় বলেন, “আমার ওঁর হাতে ডিলিট তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা পারিনি। আমি ব্যথিত।” তাঁর এই মন্তব্যের পালটা কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “নোবেল পাওয়ার পর অর্থনীতিবিদ সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল। আবার তিনিই এখন বলছেন ব্যথিত! কখন কী বলেন, উনিই জানেন।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন : থিমেও CAA বিরোধিতা, বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের সরস্বতী পুজোতেও প্রতিবাদ]

এসব দেখে বিরক্ত হয়েছিলেন অধিকাংশ প্রাক্তনী। তাঁদের বক্তব্য, এটা প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলা। আন্দোলন সঠিক পথে হলে তা সমর্থনযোগ্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এমন আচরণ লজ্জার। এরপরই অভিযোগ উঠতে শুরু করে যে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের মধ্যে বহু বহিরাগতও মিশে রয়েছে। কিন্তু তাঁরা কীভাবে নিরাপত্তার ফাঁক গলে নজরুল মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ঢুকলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ