রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ব্রিগেড নিয়ে একের পর এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে বিজেপি। ব্রিগেডের দিনই উত্তরবঙ্গে মোদিকে দিয়ে সভা করানোর সিদ্ধান্ত আগেই ঘোষণা করেছেন মুকুল রায়রা। যা রীতিমতো অবাক করেছে রাজনৈতিক মহলকে। এবার ব্রিগেডের মাঠে ছাউনি দিয়ে সভা করার ভাবনা শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। যা এর আগে কখনও হয়নি৷ একইসঙ্গে যা মহানগরের ঐতিহ্যবিরোধী বলেও সমালোচনা শুরু হয়েছে৷
আসলে ব্রিগেড মানেই লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়। চৈত্রের খাঁ খাঁ রোদ্দুরে দূরদূরান্ত থেকে আসবেন কর্মী, সমর্থকরা৷ শুনবেন নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতা৷ তাই অত বড় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডকে ছাউনি দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ভাবনা বিজেপি নেতৃত্বের৷ এটি একইসঙ্গে কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল। এর আগে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল সব দলই ব্রিগেড করেছে, কিন্তু ছাউনি দেওয়ার ভাবনাটা এর আগে কোনও দলই ভাবেনি। এমনকী ২০১৪ সালে মোদির সভাতেও ছাউনি দেওয়া হয়নি ব্রিগেডে। কিন্তু এবার সেটাই করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। গরম থেকে কর্মী সমর্থকদের রেহাই দিতে ব্রিগেডে মোদির সভায় ছাউনি দেওয়ার ভাবনা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।
৩ এপ্রিল দুপুর ৩টের সময় ব্রিগেডে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিনই শিলিগুড়িতে জনসভা শেষ করে ব্রিগেডে আসবেন তিনি। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চৈত্রের গরম। মাঠে ১০ লক্ষ মানুষ আসবেন। তাঁরা যাতে গরমে কষ্ট না পান তাই মাথায় ছাউনির ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সেনা যদি অনুমতি দেয় তাহলে ছাউনি দেওয়া হবে। পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থাও করতে হবে।
দলীয় সূত্রে খবর, মাঠ ঢাকতে অ্যালুমিনিয়ামের ছাউনি দিয়ে ঢেকে ফেলা হবে সেনার অনুমতি পেলে। ইতিমধ্যেই দিল্লি ও ঝাড়খণ্ড থেকে ছাউনির মালপত্র আনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, এবার ছাউনি দেওয়ার ব্যপারে সতর্ক গেরুয়া শিবির। কোনওভাবেই যাতে মেদিনীপুরের সভার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতারা রেকর্ড জমায়েতের দাবি করছেন, তাই ধাক্কাধাক্কিতে ছাউনির উপর চাপ পড়বেই। তাই ছাউনি যাতে শক্তপোক্ত হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে আগামী ২৯ মার্চ রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ। রায়গঞ্জ এবং কোচবিহারে জোড়া সভা করতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি৷
ফাইল ছবি
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.