সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের অস্বস্তিতে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমার। বর্তমানে সিআইডি প্রধানের পদে থাকা রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তারির জন্য নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল সিবিআই। আইপিএস আধিকারিককে নিজেদের হেফাজতে নিতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শনিবার শীর্ষ আদালতে সিবিআইয়ের অভিযোগ, শিলংয়ে জেরার সময় কোনওরকম সহযোগিতা নাকি করেননি রাজীব কুমার। এমনকি তদন্তেও কোনওরকম সাহায্য করেছেন না তিনি। তাই দ্রুত রাজীব কুমারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। সেই মর্মে এদিন আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এহেন পদক্ষেপে ফের অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের।
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে রদবদল, সরানো হল কলকাতা এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে]
প্রসঙ্গত, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে শিলংয়ে পাঁচদিন কথা বলার পর মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। ২৭ মার্চ সেই শুনানিতে স্টেটাস রিপোর্ট পড়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের মন্তব্য ছিল, রিপোর্টে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ‘গুরুতর’। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই মতোই সেদিন হলফনামা পেশ করে সিবিআই। হলফনামায় সিবিআই দাবি করেছিল, চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তে সিট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থার দেওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে ফারাক। বেশ কিছু কল রেকর্ড পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে ৪টি মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড আংশিক মুছে দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের দাবি, ওই রেকর্ড বারবার চাওয়ার পরেও তাদের হাতে দেয়নি সিট। সিবিআইয়ের অভিযোগ, এই চারটি কল রেকর্ডের কোনওটির ১১ মাস, কোনওটির ১০ মাসের কল রেকর্ড নেই। এই সমস্ত বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি তখন জানতে চান শিলংয়ে রাজীব কুমারকে জেরা করে যা পাওয়া গিয়েছে সেই তথ্য কোথায়? প্রশ্নের জবাবেই তখন সিবিআইয়ের আইনজীবী একটি হলুদ খামে সেই জেরার স্টেটাস রিপোর্ট তুলে দেন আদালতের কাছে। সেই রিপোর্ট পড়ার পরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই রিপোর্টে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা অত্যন্ত গুরুতর।”
[আরও পড়ুন: কমিশনার পদে মুকুল রায় ‘ঘনিষ্ঠ’ রাজেশ কুমার, কেন্দ্রের কলকাঠি দেখছে তৃণমূল]
সেদিনের পর শনিবার ফের অস্বস্তি বাড়ল রাজীব কুমারের। যেনতেন প্রকারেণ পুলিশকর্তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। তাই এদিন সর্বোচ্চ আদালতে রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করার জন্য আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে অসহযোগিতা-সহ বেশ কিছু অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে সিবিআই। উল্লেখ্য, এর আগে সারদা মামলায় রাজীব কুমারের কাছে নথি তলব করে সিবিআই। তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তা ঋষিকুমার শুক্লা।