Advertisement
Advertisement
Jharkhand Lawyer

৭০ কোটির সম্পত্তি, ২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান, জেল হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের আইনজীবী

সম্পত্তির সন্ধানে দিল্লি, নয়ডা ও ঝাড়খণ্ডে হানা দেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

CID recovered property worth 70 Cr of Jharkhand Lawyer | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:August 10, 2022 9:23 pm
  • Updated:August 10, 2022 9:23 pm

অর্ণব আইচ: ঝাড়খণ্ডের আইনজীবী রাজীব কুমারের অন্তত ৭০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এ ছাড়াও অন্তত ২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে কয়েকটি রয়েছে আইনজীবীর কর্মচারীদের নামে। বুধবার আইনজীবী রাজীব কুমারকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

ঝাড়খণ্ড ও কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাঁচি আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন ওই আইনজীবী। এর পর মামলার নিষ্পত্তি করার নাম করে টাকা চান ‘পিআইএল ম্যান’ নামে পরিচিত রাজীব কুমার। পার্ক সার্কাসের কাছে একটি শপিং মল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা-সহ গ্রেপ্তার হন তিনি। তাঁর সম্পত্তির সন্ধানে দিল্লি, নয়ডা ও ঝাড়খণ্ডে হানা দেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সারদা কেলেঙ্কারি: CBI জেরার দাবিতে দায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ, হাই কোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর]

ঝাড়খণ্ডে ফ্ল্যাট, সাত একর জমি-সহ প্রায় কুড়ি কোটি টাকার সম্পত্তি মেলে। দিল্লি ও নয়ডায় হানা দিয়ে চারটি ফ্ল্যাট ও অফিসের সন্ধান মেলে, যার মূল্য অন্তত ৫০ কোটি টাকা। যে ২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি তাঁর নিজের, বাকিগুলি স্ত্রী, ছেলে ও ভাই এবং ভাইয়ের পরিবারের লোকেদের নামে। ন’জন কর্মচারী রয়েছে আইনজীবীর। তাঁদের নামেও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাজীব কুমারই লেনদেন করতেন বলে অভিযোগ। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে কোটির উপর টাকার হদিশ মিলেছে। রাজীব কুমারের পরিবারের লোকেদের দাবি, পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ভাইয়ের সঙ্গে বহু বছর যোগাযোগ নেই তাঁদের পরিবারের। কিন্তু পুলিশের অভিযোগ, রাজীব কুমারকে জেরা করে ও তাঁর মোবাইল ঘেঁটে পুলিশ আধিকারিকরা নিশ্চিত যে, ভাই নিজেই দেখাশোনা করতেন দাদার টাকা লেনদেনের বিষয়টি।

Advertisement

আইনজীবীর ভাই অনীশ কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপের সন্ধান মিলেছে। এ ছাড়াও রাজীব কুমারের অফিস থেকেও মিলেছে ল্যাপটপ। সেগুলি খতিয়ে দেখে বাকি নগদ টাকার হদিশ চলছে। তদন্ত করে পুলিশ জেনেছে, কলকাতার অন্তত সাতজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা বা ‘পিআইএল’ (PIL) করেছেন আইনজীবী। এর মধ্যে তিনজনের কাছ থেকে আইনজীবী আগেই মোটা টাকা তোলা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ। ওই তিন ব্যবসায়ীকে পুলিশ শনাক্ত করেছে। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুলিশের দাবি, রাজীব কুমার ‘পিআইএল’ করার জন্য এজেন্ট ও মধ্যস্থতাকারী রাখতেন। তাঁদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকেরাও রয়েছেন। ওড়িশার ইডি কর্তার মতো আরও কয়েকজন প্রশাসনিক কর্তার সঙ্গে আইনজীবীর যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন SSC কর্তা এসপি সিনহা এবং অশোক সাহাকে গ্রেপ্তার করল CBI]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ