সুব্রত বিশ্বাস: কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে এবার হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠাল সিবিআই। নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ তাকে হাজির হতে বললেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
গত শনিবার লালার পুরুলিয়ার নিতুরিয়ার বাড়িতে প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক তল্লাশি চালায় সিবিআই। তবে লালাকে নাগালে পাননি তদন্তকারীরা। সোমবার তাকে দপ্তরে তলব করার পাশাপাশি আজ, শনিবার আসানসোল থেকে ধানবাদ ও পুরুলিয়ার গোপন রাস্তার হদিশও পেল সিবিআই। তদন্তকারী দলটি আসানসোলে দুই চালককে জেরা করে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীরাও ছিলেন সেখানে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের কাছে নালিশের পরদিনই বদলি, ‘শাস্তিমূলক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে দাবি বৈশাখীর]
উল্লেখ্য, বিরোধী রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি অতি মাত্রায় সক্রিয়, এমন অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তোলেন তিনি। এসবের মধ্যেই গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দু’দিনের রাজ্য সফর চলাকালীন আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেশ কয়েকজন কয়লা ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং কার্যালয় অভিযান চালায় আয়কর দপ্তর। কলকাতায় চলে সিবিআই তল্লাশি। এসব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিঞ্চিৎ ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। ওইদিন নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাজ্য পুলিশকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, এটা কেন?
এরপর অমিত শাহও সাংবাদিক সম্মেলনে পালটা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ”ওনার সঙ্গে লালার কী সম্পর্ক? কেন উনি বাঁচাতে চাইছেন, তা স্পষ্ট করে বলুন।” তারপরই এই ‘লালা’ ওরফে অনুপ মাজিকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। গরুপাচার ও কয়লা কাণ্ডের তদন্তে নেমে গরুপাচারকারী এনামুলের দলের সঙ্গে কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া ‘লালা’র যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছিল সিবিআই। যতদিন যাচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারীদের। এবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও গুরুত্ব তথ্য হাতে আসতে পারে বলেই আশা সিবিআইয়ের।